কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেঁচে যান বারিন্দার স্রানের কল্যাণে। ক্রিজে এসে দ্বিতীয় বলেই সাকিব ডিপ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে বসেন। ফিল্ডার ক্যাচ লুফেও নেন। কিন্তু বল ডেলিভারির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ হয় আম্পায়ারের। তাতেই বেঁচে যান সাকিব।
পরে রিপ্লে’তে দেখা যায়, বল ডেলিভারির সময় নির্দিষ্ট দাগ অতিক্রম করে ফেলেছেন স্রান। যার ফলে শূন্য রানে ফেরার বদলে ফ্রি-হিট পেয়ে যান সাকিব। ফ্রি-হিট থেকে চার মেরেই রানের খাতা খোলেন।
অবশ্য ভাগ্যকে পাশে পেয়েও খুব বেশিদূর যেতে পারেননি সাকিব। যতক্ষণ ছিলেন ধীরগতিতেই ব্যাট চালিয়েছেন। পরে মুজিব-উর-রহমানের এক ঘূর্ণি ডেলিভারিতে ফিরেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
আফগান স্পিনারের বলে স্লোগ খেলতে গিয়ে মিস টাইমিংয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন সাকিব। মায়াঙ্ক আগরেওয়ালের হাতে ধরা পড়ার আগে ২৯ বলে করেন ২৮ রান। তার ইনিংসে তিনটি চারের মার থাকলেও কোনো ওভার বাউন্ডারি নেই।
দ্বিতীয় সুযোগ পেয়ে মনিশ পান্ডের সঙ্গে গড়েছেন ৫২ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সাকিবের ধীর ব্যাটিংয়ের দিনে বড় স্কোর গড়তে পারেননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। কিংসদের ক্যাচ মিসের মহড়ার পরও নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২ রানেই থামে তাদের ইনিংস।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মনিশ পান্ডে। ৫১ বলে তিন চার এক ছক্কায় এই রান করেন। ২১ রান করেন ইউসুফ পাঠান।
সানরাইজার্সের শুরুটাই ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। স্কোরবোর্ডে এক রান উঠতেই আউট হন কেন উইলিয়ামসন। হিসাবের খাতাই খুলতে পারেননি রাইজার্স অধিনায়ক। ১১ রান করে শেখর ধাওয়ান ফেরার পর ৬ রানে ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহাও।
কিংসদের হয়ে সানরাইজার্সের কোমর ভেঙেছেন অঙ্কিত রাজপুত। চার ওভারে মাত্র ১৪ দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অন্য উইকেটটি মুজিব-উর-রহমানের।