চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ‘শাটল ট্রেন’ নামটি জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। শাটল ট্রেনকে কেন্দ্র করেই রচিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাসি, কান্না বা প্রেম-ভালোবাসা আর আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। আর এই মহাকাব্যের কিছু সময়, কিছু ঘটনা আর অনুভূতি নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শাটল ট্রেন’। এক বছর ধরে নির্মাণকাজ শেষে আগামি ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্দায় আসছে ছবিটি।
এমনটাই জানিয়েছেন ছবির নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র পরিচালক প্রদীপ ঘোষ বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় এই চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে ঢাকার শাহবাগের সুফিয়া কামাল গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে। এছাড়া ১৪ থেকে ১৮মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত দিনের উৎসবের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের গণ-অর্থায়নে এ চলচ্চিত্রটি দেশের প্রথম কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তাই শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ তরুণীদের ছবিটি দেখার আহ্বান জানান নির্মাতা।
নির্মাতা জানিয়েছেন, ‘শাটল ট্রেন’ চলচ্চিত্রতে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য, প্রেম-ভালবাসা, বিচ্ছেদ ও শিক্ষাঙ্গনের নানান বৈচিত্র কর্ম।
তিনি জানান, চলচ্চিত্রটিতে মোট আটটি মৌলিক গান রয়েছে। গানগুলোর কথা সুর এবং কণ্ঠ দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এতে অভিনয়ও করছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬তম ব্যাচের ছাত্রী মোহসেনা ঝর্ণার ‘বহে সমান্তরাল’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এই চলচ্চিত্র।