দলীয় প্রধানের পদ থেকে টেরেসা মের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর কে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার অর্থ প্রধানমন্ত্রিত্বও ছেড়ে দেয়া। সেক্ষেত্রে জুলাইয়ের মধ্যেই নতুন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে কনজারভেটিভ পার্টি। এরই মধ্যে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া সেই দৌড়ে যোগ দিচ্ছেন আরো ৬ জন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার চুক্তি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন না হওয়া, ইইউ ছাড়তে দেরি হওয়া, ইইউ নির্বাচনে অংশ নেয়াসহ নানামুখী চাপে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। আগামী ৭ জুন কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যতদিন নতুন দলীয় প্রধান নির্বাচিত না হবেন ততদিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন মে।
টেরেসা মের পদত্যাগের ঘোষণার পরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ররি স্টুয়াট, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, সাবেক শ্রম বিষয়ক মন্ত্রী এস্থার ম্যাকভি, সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্য ডমিনিক রাব ও আঁন্দ্রে লিডসাম ইতোমধ্যেই দলীয় প্রধান হবার জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
এছাড়া আরো বেশ কজন আছেন সে দৌড়ে। এরা হলেন পরিবেশমন্ত্রী মিশেল গোভ, ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্র্যাডলি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাবিদ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্ট, ব্যাকবেঞ্চার প্রীতি প্যাটেল এবং অর্থমন্ত্রী লিজ ট্রুস।
টোরি এমপিদের আগামী ১০ জুনের মধ্যে নিজেদের নাম জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যে কোনো এমপিই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারবেন। তবে তাকে পার্লামেন্টের অন্তত দু’জন সহকর্মীর সমর্থন পেতে হবে। তারপর বাছাই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত দু’জনের মধ্য থেকে দলের ১ লাখ ২৪ হাজার সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হবেন দলীয় প্রধান। তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের ৭৭তম প্রধানমন্ত্রী।