বাংলাদেশ নারী দলের রানমেশিন বলা যায় ফারজানা হক পিংকি ও নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। জাতীয় দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও দারুণ জমে তাদের জুটি। খেলার বাইরেও রয়েছে ভালো বন্ধুত্ব। সেটির খাতিরেই মজা করে জ্যোতি বলতেন, ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি কিন্তু আমি করব। কোনো উত্তর দিতেন না ফারজানা।
শনিবার মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েন ফারজানা। নারী ক্রিকেটে প্রথম শতরানের মাইলফলকে নাম লেখান টাইগ্রেস ওপেনার। এ কীর্তিকে বিফলে যেতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। হারের মুখ থেকে ম্যাচ বাঁচান। নাটকীয়ভাবে টাই হয় ম্যাচ। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগ্রেস অধিনায়ক জ্যোতির সঙ্গে আসেন পিংকিও।
জানান নিজেদের মধ্যে চ্যালেঞ্জের কথা, “আমার পাশে যে (জ্যোতি) বসে আছে সবসময় আমাকে বলত, ‘আমি কিন্তু সেঞ্চুরি করব, আমি কিন্তু সেঞ্চুরি করব।’ আমি সবসময় শুনতাম, কখনো কিন্তু রিপ্লাই দেইনি। আসলে আমার আরও ওর পজিশনটা, আমরা যখন ক্লাবে খেলি বাংলাদেশ দলে খেলি আমাদের উপরের দিকেই ব্যাটিং করতে হয়। আজকের সেঞ্চুরির ৭০ থেকে ৮০ ভাগ অবদান জ্যোতির। কারণ আজকে দেখালাম, আমারও করার সম্ভাবনা থাকতে পারে (হাসি)।’
‘আমার স্কিলের উপর অনেক বিশ্বাস ছিল। যেহেতু ভালো শুরু পাচ্ছি ভেবেছি যত দূর ইনিংস নেয়া যায়। দিন শেষে আমি পেরেছি।’
ওপেনিংয়ে নেমে ১৬০ বলে সাতটি চারে ১০৭ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন ফারজানা। ২২৫ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে ভারতকে ২২৫ রানেই অলআউট করে টিম টাইগ্রেস। ১-১ সমতায় শেষ হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।