থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে একটি উপাসনালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১২০ জনেরও বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত ওই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। হামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রাইউথ চ্যান ওচা।
সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রাজধানী ব্যংককের ছিদলোমের এরাওয়ান এলাকায় অবস্থিত সনাতন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনালয়ের কাছে হঠাৎ মোটরসাইকেলে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তাৎক্ষণিকভাবে ১২ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরো ৯ জন। আহত হয় আরো অনেকে। আহতদের মধ্যে বিদেশী পর্যটকও রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে দুইজন চীন এবং একজন ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন। উদ্ধরকর্মীরা এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। হামলার পর পর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও পর্যটন এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে থাই সরকার।
হামলার পর থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রায়ুথ ওয়াংসুয়ান বলেছেন,দেশটির পর্যটনশিল্প ও অর্থনীতির ক্ষতির জন্যই ওই হামলা চালানো হয়েছে। মূলত বিদেশী পর্যটকরা ওই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে জানান তিনি।
বিলাসবহুল হোটেল, শপিং সেন্টার এবং বিভিন্ন কার্যালয়ের কাছে অবস্থিত এরাওয়ান মন্দিরটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের স্থান। উপাসনালয়টি হিন্দু দেবতা ব্রহ্মার হলেও প্রতিদিন হাজার হাজার পূণ্যার্থী প্রার্থনার জন্য মন্দিরটিতে যান।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারবিরোধী আন্দোলন চলার সময় এক বোমা বিস্ফোরণে ২৮ জন নিহত হয়েছিল। তবে এশিয়ার অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশটিতে এ ধরনের বোমা হামলা বিরল।