বই একটি থেরাপি। বই বন্ধুও। বই-ই সুখ-দুঃখের সঙ্গী। তাহলে বইয়ের জন্য কেন নয় খানিকটা সময়?
অফিস, ট্রাফিক জ্যাম, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এসবের মধ্যে থেকে বইয়ের জন্য খানিকটা সময় বের করা কি খুব বেশি কষ্টকর? জেনে নিন তেমনই কিছু টিপস যেন শত ব্যস্ততার মাঝেও বইকে আপন করার সুযোগ পেতে পারেন।
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো বা ঘন ঘন চা কফি ব্রেক নেওয়ার জন্য কতই না সময় রোজদিন ব্যয় করেন! সেখান থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিট রাখুন বই পড়ার জন্য। সময়টা শুধুই বই আর আপনার। দেখবেন মনটা অন্য রকম ফুরফুরে হয়ে যাচ্ছে। বাকিটা সময় তো থাকলোই বন্ধুদের জন্যই।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সময় কাটানো কমান। অন্যের বা নিজের প্রোফাইল ঘাঁটা বা স্ট্যাটাস আপডেট করতে যে পরিমাণ সময় দেন, সেটা বইকে দেওয়াই উত্তম। তাছাড়া অনলাইনে এতটা সময় গেম খেলেই বা কি হবে? সেই সময়টা বই দিন। নিজেই কয়েকদিন পর পার্থক্যটা টের পাবেন।
ভ্রমণে যাওয়ার সময় একগাদা বই টেনে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। তাই এই সময়ে ডিজিটাল হতে পারেন চাইলে। ভ্রমণে যাওয়ার সময় ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটে ই-বুক পড়ার চেষ্টা করুন। যদি আপনাকেই গাড়ি ড্রাইভ করতে হয় তাহলে রেডিও শোনার চেয়ে বরং একটি অডিও বই শুনুন। সেটাও বেশ ভালো কাজে আসবে।
পড়ুয়া কিছু বন্ধু জোটান। কাজের ক্ষেত্রে হোক বা যেকোনোখানেই চেষ্টা করুন এমন কাউকে বন্ধু বানাতে যে নিজেও পড়তে পছন্দ করে। দুজনে একই বই পড়ুন এবং এরপর নিজেদের নোট ভাগাভাগি করুন। দেখবেন দুজনের যোগাযোগটা যেমন বাড়বে তেমনই বই পড়াটা আরো বেশি আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে।
অযথা ইন্টারনেটে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা না করে, অপ্রয়োজনীয় সব লিঙ্কে ক্লিক না করে সেই সময়টা দিন বইকে। অনলাইনে যে বইটি পড়তে চান সেটা পড়ার জন্য কাজের ফাঁকে সময় বের করুন। দেখবেন আরো বেশি সময় পাচ্ছেন পড়ার।
ঘুমানোর আগে খানিকটা বই পড়ার সময়ও কিন্তু খুব খারাপ সিদ্ধান্ত নয়। যদি বিবাহিত হন, তাহলে না হয় এমন কোনো বই বেছে নিন যেটা আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনে মিলে পড়া যায়। এটা কিন্তু আপনাদের দুজনকে খানিকটা একান্ত সময়ও দিবে।
কেউ নেই, কিচ্ছু নেই। সঙ্গে শুধু একটা বই। নিজের সঙ্গেই খানিকটা ডেটিং হোক না। কোনো শান্ত কফি শপ বা ফাঁকা কোনো পার্কে চলে যানে। নিজের সঙ্গে খানিকটা সময় উপভোগ করুন। দেখবেন বই আর কফি মিলে আপনার পুরো দিনটিই অসাধারণ করে তুলেছে।