ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে কিউইদের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয়। তাতে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবার ছয়ে ওঠার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বকাপও নিশ্চিত হয়েছে। দুর্দান্ত এই সাফল্যের পর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ম্যাচসেরা মুশফিকুর রহিম কৃতিত্ব দিচ্ছেন বোলারদেরই।
নিউজিল্যান্ড ২৮ ওভারে ১ উইকেটে ১৫৬ রান তুলে ফেলেছিল। কিউইদের সংগ্রহ তখন তিনশ পেরিয়ে যাওয়ার পথেই ছিল। এরপরই জ্বলে উঠলেন বোলাররা। ছন্দে ফিরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা ধরাছোঁয়ার মধ্যেই রাখলেন সাকিব-নাসিররা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে মাশরাফি বললেন, ‘শুরুর বোলিংটা খুব একটা ভালো ছিল না। ইনিংসের মাঝে খুব ভালো বোলিং করেছি আমরা। ওদের আটকে রেখেছি। ব্যাটসম্যানদের সুযোগ করে দিয়েছে বোলাররাই।’
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮.২ ওভারে ১৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। তখন দলকে জয়ে নোঙর ফেলিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক। তারা ৬০ বলে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। মুশফিক ম্যাচসেরা। তিনিও কৃতিত্ব দিচ্ছেন বোলারদেরই, ‘দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বোলাররা। শেষ ১০ ওভারে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ওরা ৩০০ করে ফেলবে। সকল কৃতিত্ব বোলারদের।’
ক্লনটার্ফের জয়টা বাংলাদেশ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে তুলে এনেছে। সেটা তৃপ্তি দিচ্ছে মাশরাফিকে। টাইগার অধিনায়কের চোখ এখন আরো সুদূরে, ‘ছয়ে ওঠাটা অবশ্যই অনেক অর্থ বহন করে। ধীরে ধীরে ওপরে উঠছি আমরা। আমাদের আরো অনেক দূরে যেতে হবে। আশা করি দল আরো ভালো করবে।’
র্যাঙ্কিংয়ে ওপরে ওঠার পাশাপাশি মুশফিককে তৃপ্তি দিচ্ছে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাওয়ার বিষয়টিও, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যাচ্ছি, এটা খুব ভালো প্রস্তুতি হল। ভালো লাগা কাজ করছে। তবে আরো উন্নতির জায়গা আছে। আশা করি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আরো ভালো কিছু করতে পারবো।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বললেন মাশরাফিও। কিউই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নিতে চান তিনি, ‘আমরা অনেক ক্যাচ ফেলেছি। বড় মঞ্চে সেরকম কিছু হবে না আশা করি।’