করোনাভাইরাসের কারণে যেভাবে থমকে গেছে বিশ্ব, তাতে দুর্যোগ পরবর্তী বিশ্বে একটা অর্থনৈতিক মন্দার আবির্ভাব স্পষ্ট। সেই পরিস্থিতি আসার আগেই বর্তমান অবস্থা আরও বেশি করুণ। ইউরোপে কলকারখানা ঘুরছে না, চলছে না যানবাহন। বন্ধ হয়ে গেছে খেলাধুলা। ফুটবল ক্লাবগুলো বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে। ক্ষতির বলি না হলেও খানিকটা আঁচ পেতে পারেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। সপ্তাহে লাখ লাখ ইউরো বেতন ফুটবলারদের, তাতে টান দিতে পারে ক্লাবটি।
আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে মূল দলের খেলোয়াড়দের বেতন কাটা হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসার কথা ক্লাব কর্মকর্তাদের। অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ইএসপিএন জানিয়েছে, বৈঠকে লিওনেল মেসিদের বেতন আংশিক কাটার ব্যাপারে সবাই দিতে পারেন ইতিবাচক মত।
গত শুক্রবারেও বোর্ড সদস্যদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেছিলেন ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ। সদস্যদের বুঝিয়েছেন যে, ক্লাবের আর্থিক অবস্থা বেশ নাজুক। কিছু সিদ্ধান্ত নিলে এই ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।
বেতন কাটা যাবে এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা খেলোয়াড়দের জানায়নি বার্সা। তবে যতদিন খেলা মাঠে না গড়াবে, ততদিন বেতন কেটে রাখার সম্ভাবনা বেশি বলেই জানিয়েছে সূত্রটি। গ্লোবাল স্পোর্টসের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের প্রথম ক্লাব হিসেবে খেলোয়াড়দের বছরে ১১ মিলিয়ন ইউরো বেতন দেয়ার রেকর্ড গড়েছে বার্সা। তাই অন্য ক্লাবগুলোর থেকে তাদের খরচ তুলনামূলক একটু বেশিই।
বেতন কাটার ব্যাপারটি গোপন রাখতে চাইলেও গোপন থাকেনি বার্সার, সেই সূত্র ধরেই জানিয়েছে ইএসপিএন। বেতন কমতে পারে এই শঙ্কায় বার্সাসহ বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়রা যোগাযোগ রেখেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোপিয়ান ক্লাবস (ইসিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে। মূলত আর্থিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে খোঁজ রাখছেন তারা। বৃহস্পতিবার করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে চাকরি হারিয়েছেন সুইস ক্লাব এফসি সিওনের নয় ফুটবলার।