গত চারদিনের টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে যে দূর্ভোগ তা আজ বুধবারের পরে কিছুটা লাঘব হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এ টানা বর্ষণ হচ্ছে। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সমুদ্রবন্দরগুলো থেকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে সতর্কতা সংকেত।
চ্যানেল আই অনলাইনকে আবহওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত রাজধানীতে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবারের পরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।
টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া জলজটের মধ্যে যানজটে অতিষ্ট নগরবাসী। সময়মতো স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা গেছে রাজধানীবাসিকে। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে জমেছে হাঁটু পানি।
পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় জমে থাকা পানি মাড়িয়েই চলাচল করছেন নগরবাসী। গর্ত-ড্রেন-ম্যানহোলসহ বিভিন্ন স্থানে পথচারীরা পড়ে নয়তো রিক্সা উল্টে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা খন্দকার মাহফুজ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘বৃষ্টিতে যে ভোগান্তি তা থেকে মানুষকে রক্ষার একমাত্র উপায় হলো বৃষ্টির দিনগুলোতে অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ সব ছুটি ঘোষণা করা।’
প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত সায়মা আলী বলেন, ‘বৃষ্টির দিনে সময়মতো অফিসে পেঁছানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
রাজধানীর মতিঝিল, নয়াপল্টন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ধানমন্ডি, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, তেজগাঁও, আজিমপুর,মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, তেজগাঁও, কাওরানবাজার, ঝিগাতলা, ট্যানারি মোড়, যাত্রাবাড়ি, কুড়িল, ভাটারা এলাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে জনগণকে।
রাজধানীর খাল ও ড্রেন থেকে ময়লা সরিয়ে পানি চলাচলের পথ তৈরিতে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা ওয়াসা। সামনের দিনগুলোতে এ অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশাবাদ তাদের।
ছবি- রন মাহমুদ ও সাকিব উল ইসলাম