বিশ্বের মোট জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ মানুষ সোডা বোতলের মত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকে নিষেধাজ্ঞা চায় বলে রয়র্টাস এবং আইপিএসওএস পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত কয়েক দশকে প্লাস্টিকের ফলে দূষণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে মহামারির সময়ে। রয়র্টাস জানায়, প্লাস্টিকের দূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশ মেক্সিকো, কলম্বিয়া এবং ভারত থেকে পাওয়া উত্তরদাতাদের বেশিভাগই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে।
মঙ্গলবার লন্ডনে করা আরেক জরিপে দেখা গেছে ,জরিপকৃতদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ মনে করেন প্লাস্টিকের বর্জ্যের প্রভাব কমানোর জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এবং খুচরা বিক্রেতাদের আরও দায়িত্ব পালন করতে হবে।এ জরিপটি পরিচালিত হয়েছিল ২৮টি দেশের ২০ হাজার লোকের উপর।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড ইন্টারন্যাশনালের মহাপরিচালক মার্কো ল্যাম্বার্টিনি এ সমীক্ষার বিষয়ে রয়টার্সকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মানুষ তাদের মতামত স্পষ্ট করেছে। বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক নিষিদ্ধ চুক্তি গ্রহণ করার দায়িত্ব এবং সুযোগ এখন সরকারের উপর রয়েছে যাতে আমরা প্লাস্টিক দূষণ দূর করতে পারি।’
যদিও রয়র্টাস জানায়, আমেরিকান কেমিস্ট্রি কাউন্সিলের মতো তেল এবং রাসায়নিক সংস্থাগুলোর জন্য লবি করে এমন গ্রুপগুলো , প্লাস্টিক উৎপাদন সীমিত করে এমন কোনও চুক্তি এড়াতে সরকারকে চাপ দিচ্ছে কারণ পেট্রোলিয়াম পণ্য প্লাস্টিক উৎপাদনের একটি মূল উপাদান।
রয়টার্স ও আইপিএসওএস এর জরিপের নব্বই শতাংশই বলেছেন, তারা প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা করার জন্য একটি চুক্তি চান।
তবে প্লাস্টিকের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই জানিয়েছে তারা প্লাস্টিকের ফলে দূষণ এড়াতে পুনঃব্যবহার শুরু করবে। উদাহরণস্বরূপ কোকাকোলা এই মাসের শুরুতে বলেছে, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী যে প্যাকেজিং ব্যবহার করে, তার ২৫ শতাংশ পুনঃব্যবহারযোগ্য করে তুলবে।
এছাড়া পেপসিকো-ও জানিয়েছে , তারা তাদের প্যাকেজিং এ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাবে।