পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে সেই রানের নীচেই চাপা পড়ল টিম ইন্ডিয়া। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নিল প্রোটিয়ারা।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে, সাউথ আফ্রিকার তিন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে ৪৩৯ রান তাড়ার করার আগেই ম্যাচ হেরে বসে ধোনির ভারত।
সাউথ আফ্রিকার প্রলয়ংকরি ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ছিল তারা দুরন্ত। দলীয় ২২ রানে রোহিত শর্মা আর ৪৪ রানে কোহলিকে অসাধারণ এক ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরত পাঠালে খেই হারিয়ে বসে টিম ইন্ডিয়া। স্টেইন, রাবাডা আর অ্যাবাটের পেসে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে গুড়িয়ে যায় ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন আঞ্জিকা রাহানে। এছাড়া শিখর ধাওয়ান ৬০ রান করেন। প্রোটিয়াদের পক্ষে কাগিসো রাবাডা চারটি ও ডেল স্টেইন তিনটি উইকেট নেয়।
তবে দিনের শুরুর গল্পটা ছিল ভিন্ন রকমের। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিতে ভুল করেননি প্রোটিয়া কাপ্তান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাচের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই মোহিত শর্মার শট বলে পুল করে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ৬০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ওপেনার হাশিম আমলা।
আমলার রেকর্ডের দিনে পিছন ফিরে তাকায়নি প্রোটিয়ারা। রেকর্ডের দিনে ২৩ রানের ছোট্ট ইনিংস খেলে মোহিতের বলে ধোনির গ্লাভসে বন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আমলা।
এরপর থেকেই শুরু প্রোটিয়াদের ব্যাটিং তাণ্ডব। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে সঙ্গে নিয়ে ফাফ ডু প্লেসিস গড়েন ১৫৪ রানের জুটি। পরেই দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। দলীয় ১৮৭ রানে ব্যক্তিগত ১০৯ রান করে কক প্যাভিলনে ফিরে গেলে মাঠে আসেন ক্যাপ্টেন ভিলিয়ার্স।
শুরু হয় ভোরতের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা। মাত্র ২০ ওভার ৩ বলে ২১১ রান উপহার দেন ভিলিয়ার্স-প্লেসিস জুটি। প্রলয়ংকারী ইনিংসটি খেলেন ক্যাপ্টেন ডি ভিলিয়ার্স। তার ৬১ বলে ১১টি ছয় ও ৩টি চারে গড়া ১১৯ রানের ইনিংসে ভারতের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ভারতীয় বোলারদের।
মাত্র ৩৪ বলে তুলে নিয়েছেন ৫০ রান, ৫৭ বলে করেছেন সেঞ্চুরি, আর ৬১ বলে ধোনির হাতে ধরা পড়ার আগে মাঠ ছেড়েছেন ১১৯ রান করে। এবি’র আগে মাত্র ৮৭ বলে সেঞ্চুরি করে ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করেছেন উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক। তিনি ১৭ টি চার ও একটি ছক্কায় করেন ১০৯ রান।
এরপরই ফাফ ডু প্লেসিস ১১৫ বলে ৬টি ছক্কা ও ৯টি চারে করেন ১৩৩ রান। পরে পেশীতে চোট পেয়ে অবসর নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
প্রোটিয়াদের তিন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির রেকর্ডের দিনে পিছিয়ে ছিলেন না ভারতীয় বোলারাও। ভুবেনশ্বর কুমার বল হাতে রান দিয়েছেন ১০৬ বিনিময়ে নিয়েছেন এক উইকেট। এছাড়া মোহিত শর্মা, হরভাজন সিং একটি করে উইকেট নেয়। ম্যাচ সেরা হয়েছেন কুইন্টন ডি কক আর সিরিজ সেরা হয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।