১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান। তার উত্তরসূরি হিসেবে বর্তমানে সরাসরি বিএনপির অভিভাবকত্ব করছেন জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া। এরপরই আছেন তারেক রহমান। যাকে দলটির ভবিষ্যত কাণ্ডারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই দু’জনই নেই দেশে।
এক মাসের অধিক ধরে চেয়ারপার্সন অবস্থান করছেন লন্ডনে। তিনি চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য সেখানে আছন। উঠেছেন ছেলে তারেক রহমানের বাসায়। তারেক রহমান বহু আগে থেকেই দেশে নেই।
দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধান দু’জন ব্যক্তিই পাশে নেই বিএনপির। এমন পরিস্থিতিতে দলটি ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন কেন্দ্রীয় কমিটি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সকাল দশটায় জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন।
একই সঙ্গে সেখানে ফতেহ পাঠ ও দোয়া পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা আগে থেকে আলোচনা সভার জন্য ভেন্যু খুঁজছিলাম। কিন্তু সরকার শোকের মাসের অজুহাতে আমাদের কোন ভেন্যু দিচ্ছিল না। তবে ৯ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চেয়ারপার্সন ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কেমন হবে এমন প্রশ্নে রিজভী বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। তিনি অসুস্থ। তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের অসহায় বন্যা দুর্গত মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদেরকে। আমরা তার নিদের্শনা মতোই উদ্যোগ গ্রহণ করছি। তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, আমাদের সঙ্গে সবসময়ই আছেন।
রিজভী অারও বলেন, তাছাড়া লন্ডনেও আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে থাকবেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর লন্ডনের একটি কনভেনশন সেন্টারে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। কাজেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে আমাদের কোন সমস্যা নেই। তবে বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের সকল কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করছে। এমনকি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভেন্যু দিতেও সরকার গড়িমসি করছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।
এদিকে দলের একাধিক সূত্র বলছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। তিনি এসে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তার বার্তা প্রদান করবেন।
চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনেই ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া। ঈদের পর চিকিৎসার বাকি কাজগুলো শেষ হলেই দেশে ফিরবেন তিনি।