বিএনপিকে বাদ দিয়ে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ গোপন খবর নিয়ে বুঝতে পেরেছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তারা চায় নানা অপকৌশলে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে। কিন্তু বিএনপিকে বাদ দিয়ে আর কোন নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়।
রোববার রাজধানীর গুলশান-১ এর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন এসব কথা বলেন।
বেগম জিয়া অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী সহ নানা অপবাদ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার অপকৌশল নিয়েছে অবৈধ সরকার।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা দেশ থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছে, যারা গম চুরি, রিলিফ চুরি করেছে সেই আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় শক্তি বনে গেছে, তারা নিজেদের অপছন্দের ব্যক্তিকে নানা অপবাদ দিয়ে ঘায়েল করছে।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ হলো চোরের দল। মুক্তিযুদ্ধ থেকে তারা রিলিফ চুরি, গম চুরি করছে। ভোট চুরি তাদের প্রধান চরিত্র। তারা জানে সুষ্ঠু ভোট হলে পালাতে হবে। কিন্তু তারা এতো বেশি লুট করেছে যে পালানোরও সুযোগ পাবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা দিয়ে এখন ৭০ টাকা করে চাল খাওয়াচ্ছে। এই সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধারা অসহায়, ঠিকভাবে খেতে পারছে না।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে দেশ আপনারা স্বাধীন করেছেন তা কি এভাবে চলতে পারে? আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এই দেশকে জালিম সরকারের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আওয়ামী লীগের সময় শেষ। আর কয়েকটি মাস হাতে আছে। এরপর পালাতে হবে। সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। হাসিনার অধীনে নয়। ইনশাল্লাহ ২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর।
ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মী সহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।