টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার পথে দুর্দান্তভাবেই এগিয়ে চলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জিতে ফিরেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
বুধবার রাতের জয়ে রিয়ালের গোল দুটি এসেছে মার্সেলো ও মার্কো আসেনসিওর থেকে। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে টানা ১১ ম্যাচে গোল করা রোনালদো এদিন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে! আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি জসুয়া কিমিচের।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় দর্শকরা নড়েচড়ে না বসতেই ১৮ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যেতে বসেছিল স্বাগতিকরা। কারভাহালের ভুলে বল পেয়ে লেভানডোভস্কি সেটি ঠেলে দেন ফাঁকায় দাঁড়ানো মুলারের দিকে। জার্মান তারকা সেদফা বলের নাগাল পাননি।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই চোটে আরিয়েন রোবেন মাঠ ছাড়লে বড়সড় একটা ধাক্কা খায় বায়ার্ন। তবে খেলার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরাই। জসুয়া কিমিচের গোলে। দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণের শেষে হামেস রদ্রিগেজের ডিফেন্সচেরা পাস খুঁজে পায় মিডফিল্ডার কিমিচকে।
ছন্দ ধরে রাখার মাঝেই ৩৩ মিনিটে আরেকটি চোটের ধাক্কায় পড়ে বায়ার্ন। এবার মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটাং। জার্মানরা বলের দখল ধরে রাখার পাশাপাশি এরপরও আক্রমণ গড়ে গেছে সমানতালে। সুযোগও হাতছাড়া করেছে বেশ কয়েকটি। ফ্রাঙ্ক রিবেরি নাভাসকে একা পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন।
সেই তুলনায় রিয়াল শুরুতে ছিল ধূসর। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের খেলায় ফিরেছে বার্নাব্যুর দলটি। বায়ার্নের গড়া চাপের মধ্যেই খেলার ধারার বিপরীতে অতিথিরা সমতা ফিরিয়েই বিরতিতে যায়। মার্সেলোর বাঁ-পায়ের বুলেট শটে ৪৪ মিনিটে স্বস্তিতে ফেরে লস ব্লাঙ্কোসরা।
মধ্যবিরতির পরও রিয়াল রক্ষণে চাপ ধরে রাখে বায়ার্ন। তবে এগিয়ে যায় রিয়ালই। আসেনসিওর গোলে। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে লুকাস ভাসকেজের পাসে বক্সের মধ্য থেকে করা আসেনসিওর গোলটি শেষপর্যন্ত জয়সূচক হয়ে দাঁড়ায়।
গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ২-১ ব্যবধানের জয় পেয়েছিল রোনালদোরা। তারই আরেকটি মঞ্চায়ন হল যেন। পরের সপ্তাহে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ধারাটা ধরে রেখে ফাইনালে পা রাখতে খুব সমস্যা হওয়ার কথা নয় জিদানের দলের।