রাজধানীর মহাখালীতে ৬ নম্বর বাসের চাপায় আহত নুরুল আমিন চৌধুরীকে কেন দেড় কোটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে এ ঘটনায় দায় ও ক্ষতিপূরণ নিরুপনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে সড়ক ও জনপথ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
অ্যামনেস্টি বেঙ্গলের পক্ষে তাদের প্রধান নির্বাহী অধ্যক্ষ ড.রেজিনা বানু রিটটি করেছেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. দেওয়ান এম এ ওবাঈদ হোসেন।
আইনজীবী ড. দেওয়ান জানান, ঘটনারপর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করা হয়। রিটে বিবাদীরা হচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক ও জনপথ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যার,পুলিশের গুলশান জোনের উপ কমিশনার, ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ কমিশনার ও বনানী মডেল থানার ওসি, ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো.মনসুর ও ৬ নম্বর বাসের মালিক (ঢকিা মেট্রো-ব-১১৩০৮৩) মো.নাসিরকে বিবাদী করা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে খিলগাঁওয়ের প্রকাশনা ব্যবসায়ী নুরুল আমিনের ডান পা ছয় নম্বর একটি বাসের চাপায় থেঁতলে হাঁটুর নিচ থেকে মাংসপেশি খসে পড়ে গেছে। ওই দিন তাঁকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁর ডান পায়ের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে।এরপর পঙ্গু হাসপাতাল থেকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়ে।
এখন সেখানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। তাঁর ডান পা কেটে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা। তবে এখনই সেই অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। সংক্রমণ থেকে তাঁর শরীরে আরও নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। নুরুলের দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।