বাবর আজমের সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শের দিনেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে পাকিস্তান। সফরকারীদের ৭ উইকেটে হারানোর ম্যাচে সেঞ্চুরিসহ পাল্টা রেকর্ড গড়েছেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও। ওয়ানডেতে তিনি দ্রুততম সময়ে ৩ হাজার রানের স্কাের ছাড়িয়েছেন।
প্রথম ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৩ রান করে পাকিস্তান। জবাবে পুরো পাঁচ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচের হারের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪৪ রানে জুনায়েদ খানের বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার(৩৫)। পরের ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন উসমান খাজা(৯)। দ্রুত দুই উইকেট হারালে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৮৩ রান যােগ করে জয়ের রাস্তা সহজ করেন স্মিথ ও পিটার হ্যান্সকম্ব। ৮২ রান করে হ্যান্সকম্ব ফিরলেও ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ। শেষ বেলায় ক্রিজে এসে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ট্রাভিস হেড।
এর আগে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন সারজিল খান। ৪৭ বলে ৫০ রান করেন এই ওপেনার। তবে আগের ম্যাচে ভাল করলেও এই ম্যাচে মাত্র ৪ রান করে আউট হন মোহাম্মদ হাফিজ(৪)। দ্রুত আউট হন আসাদ শফিকও(৫)। সমান ৩৯টি করে রান করেন শােয়েব মালিক ও উমর আকমল।
অন্যরা কিছু কিছু রান পেলেও পাকিস্তান ইনিংস একপাশ থেকে টেনেছেন বাবর আজম। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন তিনি। এর মধ্যে আছে ১টি ছক্কা ও ৪টি চারের মার। খেলেছেন ১০০টি বল।
এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের পাশে স্থান করে নেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
২০ ম্যাচে ৯৫৩ রান নিয়ে এদিন উইকেটে নেমেছিলেন তিনি। রেকর্ড ছুঁতে প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান। ইনিংসের ২৯তম ওভারের এই মাইলফলক গড়েন তিনি।
২২ বছর বয়সী বাবর ওয়ানডের ২১তম ইনিংসে এসে দ্রুততম সময়ে এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁলেন। তার আগে এই রেকর্ডটির পাশে নাম লিখিয়েছেন আরও ৪ জন। ৩৭ বছর আগে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ২১ ইনিংসে হাজার রান পূর্ণ করে এই র্কীতি গড়েন। এরপর দুই ইংলিশ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ও জোনাথন ট্রটও এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। অন্যজন হলেন সাউথ আফ্রিকার উইকেরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক।