আর কোনো উপায় না থাকলে নর্থ কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ক্ষমতা ব্যবহার করতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলি।
মঙ্গলবার নর্থ কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকে এ কথা বলেন নিকি। পিয়ংইয়াংয়ের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নতুন আরেকটি নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব তোলা হবে বলেও জানান তিনি।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটিকে তিনি একটি স্পষ্ট সামরিক উত্থান উল্লেখ করে নর্থ কোরিয়ার ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস এবং জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোমোমি ইনাডা ৪ জুলাইয়ের ওই মিসাইল পরীক্ষাকে ‘অগ্রহণযোগ্য উস্কানি’ বলে মন্তব্য করেছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ম্যাটিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে রক্ষা করতে এবং নর্থ কোরিয়াকে বাধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নর্থ কোরিয়া নানা ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছে। এবারের পরীক্ষাটিও সেই নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট বিরোধিতা। এমনকি মিসাইলটি উৎক্ষেপণের পর নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে ঘোষণা দেয়া হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের উপহার।