আমাদের শিশুদের গল্পশোনা ও নীতিশিক্ষা যেসব গল্পের মধ্য দিয়ে চলে আসছে, সেগুলোর একটির শুরু এভাবে: ‘একদা, এক বাঘের গলায় হাড় ফুটিয়াছিল’। অপর একটি গল্প মিথ্যাবাদী রাখালের ‘বাঘ আসিয়াছে’ বলে চিৎকার করা নিয়ে। কোনো গল্পই সবিস্তারে বলার প্রয়োজন নেই। এটুকু উল্লেখে সকলেরই গল্প দু’টোর পুরোটাই মনে পড়বে।
দুটিই ঈশপের গল্প। গ্রিক ঈশপ তার দেশের বাস্তবতায় বাঘ নয়, কুকুর প্রজাতির প্রাণী নেকড়েকে চরিত্র করেছিলেন। পরিচিতি ও খ্যাতির কারণে বাংলায় সেই নেকড়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘কথামালা’য় বাঘ হয়ে গেছে। অবশ্য বাঘ নিয়ে কথাকাহিনি (Tale) থেকে কথাবার্তা (Talk) বাঙালি নিজেও কম করেনি। আমরা বাঘের ঘরে ঘোগের (কুকুর জাতীয় বন্যপ্রাণী) বাসা তৈরি করে দিয়েছি, বাঘের চেয়েও বড়ো টাগ নামীয় প্রাণীকে কল্পনায় সৃষ্টি করেছি।
বাংলা বাগ্বিধিতে বাঘের আনাগোনা অগণ্য; আমরা বাঘের মতো গর্জে উঠি/ লাফিয়ে পড়ি/ আক্রমণ করি। প্রবাদ-প্রবচনে পাচ্ছি: ‘আগে গেলে বাঘে খায়’, ‘যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়’, ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’ ইত্যাদি। বাগধারায়ও আছে বাঘের ধারাবাহিকতা: ‘বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খাওয়া’, ‘বাঘে ছুলে আঠার ঘা’, ‘বাঘের দুধ’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘এক বনে দুই বাঘ’ ইত্যাদি।
আমরা বিজ্ঞান-পাঠের পূর্বেই চোখের দেখা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিড়াল হলো বাঘের মাসি। আবার আমাদের বাচ্চাদের সাথেও আত্মীয়তা পাতিয়ে দিয়েছি ‘বাঘমামা’ পরিচয়ে। সাধারণ মানুষের জন্যে বাঘের পিঠে সওয়ার হওয়া ভয়ংকর বিপদের পড়ার সমার্থক হলেও, কিংবদন্তিতে অলৌকিক ক্ষমতার সাধু-সন্তেরা বাঘের পিঠে বিহার করেছেন। আমাদের বাচ্চারা খেলে বাঘবন্দি। বিশিষ্ট বাঙালিকে আমরা বাংলার বাঘ (আশুতোষ মুখোপাধ্যায়), শেরে বাংলা (আবুল কাশেম ফজলুল হক) ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করেছি। এসব থেকে প্রমাণিত হয় বাঘ বাংলার জনপদে, বাঙালির জীবনধারায় পূর্ণরূপে প্রিয় না হলেও অনিবার্য অনুষঙ্গ।
আদিকালে পুরো উপমহাদেশ জুড়েই বাঘের রাজত্ব না হোক, অস্তিত্ব ছিল বলা যায়। প্রাচীন সাহিত্য-সূত্রে সিংহের দেখা মিলেছে বাঘের অনেক পরে। ইতিহাসেও তাই। মহেনজোদারো সভ্যতার নিদর্শনরাজির মধ্যে কয়েকটি প্রাণীর মুখাঙ্কিত সিলমোহর মিলেছে, যেগুলোর একটি বাঘের। বাঘরূপী দেবতা বা বাঘেদের দেবতার কথা জানা গেছে আর্যসংস্কৃতিতেই। বাংলায় কৃষি-পশুর দেবতা শিবের বাহন বৃষভ হলেও পরিধানে বাঘছাল রয়েছে, কৃত্তিতে উপবেশন করেন তিনি।
শিবপত্নী দুর্গার প্রাচীনতর মূর্তিতে বাহন ছিল বাঘ, পরবর্তীকালে তা হয়েছে সিংহ। সে কি ভূভারতে বাঘ কমে আসছিল বলে? তবে বাংলার লোকধর্মে বাঘের ভূমিকা বেশ পরিমাণেই ছিল। বনবিবি, দক্ষিণ রায়, গাজী পির, সোনা রায়, বনদুর্গা, ভাণ্ডানী প্রভৃতি বন বা বাঘ বিষয়ক দেবদেবীর বাহন বাঘ। এরা কেউ কেউ বাঘেরই দেবরূপ বলে কথিত। মধ্যযুগের রায়মঙ্গল কাব্য আদতে ব্যাঘ্রমঙ্গল। লৌকিক ব্রতপূজার বাঘাই-সোনাই ওই সূত্রেই এসেছে।মধ্যযুগীয় এসব ধর্ম-সংস্কৃতির চর্চা আজ কমতে কমতে সুন্দরবন ও সন্নিহিত অঞ্চলেই সীমায়িত হয়েছে। শুধু লোকধর্মের বিলুপ্তির জন্যেই নয় বাঘবিলুপ্তির কারণেও বটে।
যদিও আধুনিক শিল্পসাহিত্যে বাঘ এখনও বহাল তবিয়তেই আছে। গত শতকের আশির দশকের সিনেমার (‘মাটির ঘর’) জনপ্রিয় গানে ছিল, ‘আনার দিন তো বাঘে খাইছে’। কিন্তু এই বাঘের দিনই আমরা খেয়ে ফেলি কিনা, সেটিই আজ ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ভাবনাটি শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও সত্য। বিশ শতকের শুরুতেও বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ছিল ১লাখ। একুশ শতকের শুরুতে তা নেমে গেল কয়েক হাজারে। বাঘ পরিণত হলো মহাবিপন্ন (Critically Endangered) প্রাণীতে।
শোনা যায় কেউ কেউ নাকি সেকারণে বাঘের মমি পর্যন্ত করে রেখেছেন। ২০১০ সালে জানা গেল পৃথিবীতে পাঁচ বা ছয় উপপ্রজাতির বাঘ আছে, সব মিলিয়ে যাদের সংখ্যা ৩২০০ মাত্র। এর আগে তিনটি উপপ্রজাতি একদম হারিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ওই বছর ২১ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর বাঘসমৃদ্ধ ১৩টি টিআরসি (টাইগার রেঞ্জ কান্ট্রি) ভুটান, নেপাল, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ভারত, লাওস, চীন, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। বিশিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন ‘টাইটানিক’খ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও যিনি বাঘের বিপন্নতার বিষয়টি অনুধাবন করে বিশ্বে বন্যপ্রাণী তহবিলে এক মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদান করেন। সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ১৬টি সিদ্ধান্তের শেষটি অনুয়ায়ী প্রতিবছর ২৯ জুলাই বাঘ দিবস পালিত হয়ে আসছে। এরপর কয়েকটি দেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল বটে, তবে এরই মধ্যে ২০১৫ সালে একটি দেশ (কম্বোডিয়া) বাঘশূন্য হয়ে গেল।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। গত শতকের শুরুতেও নির্দিষ্ট বন ছাড়িয়ে সারাদেশে বাঘের বিচরণ ছিল। ১৯৩০ সালে তখনকার শাসনতান্ত্রিক বিন্যাসে নিখিল বাংলার ১৭ জেলার ১১টিতে বাঘ ছিল। দেশ জুড়ে জঙ্গলসদৃশ ঝোপ-ঝাড়ে বাঘ থাকতে পারতো। সেসময় বাঘ শিকারের জন্য ঢাকার রাজা-জমিদারদের পুরস্কার ঘোষণা করতে হতো। সেদিন বাঁচার জন্যে বাঘ মারতে হতো, কারণ সে এসে পড়তো আমাদের জনপদে। আজ আমাদের বাঁচার জন্যেই বাঘকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, কারণ বাঘ না বাঁচলে বন বাঁচবে না। বন না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না।
এখন বাঘ যা আছে তা শুধু বনেই। এবং সে বনেই থাকতে চায়। কিন্তু আমরা আজ সেই বনকেই আক্রমণ করেছি। বনের গাছপাতা কেটে, সেখানকার জলে তেলকালি মিশিয়ে, তার বায়ুকে দূষিত করে বনকে উজাড় করে। বন বিপর্যস্ত হলে বাঘের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। সুন্দরবনের পাহারাদার, রক্ষাকর্তা হিসেবে বহু আগে থেকেই বনবাসী বা বননির্ভর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ছিল। তাই তারা বাঘকে বড়ো মিয়া, বড়ো কর্তা ইত্যাদি উপাধিতে সম্মান করতো।
এখন তাদেরও চিন্তাধারা পাল্টেছে অতিলোভী-অপরাধীদের সংস্পর্শে। বাঘের চামড়া ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচারে সহযোগিতা করে, বাঘহত্যায় অংশ নেয়। বাঘ জনপদে এসে পড়লে অবশ্য সাধারণ মানুষেরাও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে বাঘহত্যায় সম্মিলিত হয়। সরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রচারণায় কিছু সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে বৈকি। বাঘ, বন ও বাংলাদেশের ভাল থাকা যে একে অন্যের ভাল থাকার উপর নির্ভরশীল সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন। তাই খাদ্যাভাবে জনপদে এসে পড়া বাঘকে হত্যার পরিবর্তে ঢাল-ঢক্কর পিটিয়ে, আলো জ্বালিয়ে সম্মিলিত চেষ্টায় বনে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে কিছু।
এবারের বিশ্ব বাঘ দিবসে বাংলাদেশের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ রক্ষা করবো’। শরীর-শক্তি-সাহস-সৌন্দর্য ও স্বভাবের স্বকীয়তায় শ্রেষ্ঠ যে বাঘ, তা এই বাংলার প্রাণী সুন্দরবনে যার বসবাস। সুন্দরবন রক্ষার শর্তেই তো বাঘ রক্ষা সম্ভব, অন্যথায় নয়। প্যানথেরা ট্রাইগ্রিস টাইগ্রিস উপপ্রজাতির এই রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে আমরা জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দিয়েছি। কিন্তু তার প্রতি আমাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করছি কিনা সেই প্রশ্ন উঠতেই পারে? পরিস্থিতিটা একটু বোঝা যাক। একটি বাঘ আরেকটি বাঘের বিচরণ ক্ষেত্রে সাধারণত যায় না। ‘এক বনে দুই বাঘ’ মানে যে বিসম্ববাদপূর্ণ পরিবেশের সম্ভাবনা এই প্রবচন তারই ভিত্তিতে সৃষ্টি।
একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের জন্য ১০-১২ কিলোমিটার জঙ্গল একক দখলে থাকতে হয়। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬০১৭ বর্গকিমি, এর ৪৪৬৪ বর্গকিমি বাঘের বিচরণক্ষেত্র যেখানে প্রায় ৪০০টি বাঘ থাকার কথা। ২০০৪ সালে পায়ের ছাপ গুণে করা জরিপে বলা হয়, এই বনখণ্ডে বাঘের সংখ্যা ৪১৯টি। কিন্তু পদ্ধতিটি অনেকটাই অবৈজ্ঞানিক। কারণ মানুষের হাতের ছাপের মতো অনন্য নয় বাঘের পায়ের ছাপ। সে বিশিষ্টতা আছে বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগে। তাই বাঘের গমনাগমন পথে ক্যামেরা লাগিয়ে গায়ের নকশা পর্যবেক্ষণ করে বাঘ গণনা অধিক গ্রহণযোগ্য। যদিও ক্যামেরা ট্র্যপিং পদ্ধতিতেও গণনা সুনিশ্চিত নাও হতে পারে, তবে সত্যের কাছাকাছি থাকে। এই পদ্ধতিতে ২০০৬-এ সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ২০০টির মতো। ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই এই পদ্ধতিতে বাঘের সংখ্যা ১০৬টিতে নেমে এসেছে।
বলা হচ্ছে, সুন্দরবনে প্রতি বছর তিনটি করে বাঘ কমছে। তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত মাসের ২১ তারিখ জানিয়েছে, সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। অর্থাৎ বিগত তিন বছরে আটটি বাঘ বেড়েছে। সংবাদটি আশাব্যঞ্জক।
বাংলাদেশ সেন্ট পিটার্সবার্গ সম্মেলনের ১৫ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ বাঘ সংরক্ষণে অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করেছে। তারও পূর্বে গ্রহণ করেছিল বাঘ সংরক্ষণ কর্ম পরিকল্পনা ২০০৯-১৭। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল টাইগার ফোরামের ২০০০ সালের সম্মেলন হয়েছিল বাংলাদেশে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে; এ আইনে এখন বাঘহত্যা অজামিনযোগ্য অপরাধ, ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে সঙ্গে ১-৭ লাখ জরিমানা। দ্বিতীয়বার বাঘ হত্যাকারীর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারপরও বাংলাদেশের অর্জন সন্তোষজনক নয়। গ্লোবাল টাইগার ইনিশিয়েটিভ (জিটিআই)-এর নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অর্জনে অনেক সময়ই ব্যর্থ হয়েছে।
বাঘ হত্যাকারী ও বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সবসময় আইনগত ব্যবস্থা যথাযথভাবে নিতে না পারা, সুন্দরবনের অস্তিত্বের উপর হুমকি এমন সব ঘটনা ঘটতে থাকা, জীবিকার ব্যাপারে সুন্দরবনের প্রতি সরাসরি নির্ভরশীল মানুষদের বিকল্প বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারা এই ব্যর্থতার কারণ।
তারপরও আমরা আশা রাখতে চাই। সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে ২.১৭। টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৮-২০২৭-এ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪.৫। লক্ষ্যপূরণে সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা কাম্য। আমাদের ক্রিকেটারদের ক্রীড়ায় শৈলীতে বাংলার বাঘের রাজকীয় শৌর্য ধরা দেবে এই কামনায় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বিশ্বাবাসীর কাছে দেশের ক্রিকেটাররা ‘টাইগার’ বলেই পরিচিত। তাদের খেলার দিনগুলোতে স্টেডিয়ামে ছোট বড়ো কৃত্রিম বাঘ নিয়ে আসে সমর্থকেরা।
এই সেদিনও ইংল্যান্ড-ওয়েলসের স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো একখণ্ড বাংলাদেশ হয়ে উঠছিল বাঙালিদের প্রাণোচ্ছলতায় আর ডোরাকাটা রাজকীয় বঙ্গীয় ব্যাঘ্রের প্রতিমূর্তিতে। স্বআবেগে আমরা দেখলাম, পাণ্ডা-পুতুল নয়, ক্যাঙ্গারু-সিংহ নয়, প্রবাসে জন্ম নেয়া-বেড়ে ওঠা বাঙালি শিশুরা বাঘের প্রতিমূর্তি জড়িয়ে ধরেছে। বাবা-মা চিনিয়েছে, এই আমাদের জাতীয় পশু।
তাদের এই পাঠটি অন্তরে স্থায়ী হোক বাস্তবতার সমর্থনে। টাগ বা ঘোগের মতো বাঘও যেন আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে শুধুই কল্পনার প্রাণীতে পরিণত না হয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাস বলেই সবশেষে বলি: সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ুক, ময়দানে ‘টাইগার’দের সামর্থ্য বাড়ুক।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)