সাইড রেফারিকে আপত্তিকর কথা বলে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সেই নিষেধাজ্ঞা আবার এলো বলিভিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের কয়েকঘণ্টা আগে। সেটা নিয়েই প্রশ্ন এগার্ডো বাউজার। এত অল্প সময়ের মধ্যে কী করে এতসব ঘটলো সেটা ভেবে উত্তর পাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার কোচ।
ঘটনার সূত্রপাত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত বৃহস্পতিবার চিলির বিপক্ষের ম্যাচে। মেসির বিরুদ্ধে ‘অশ্রাব্য গালি’র অভিযোগ তোলেন লাইন্সম্যান মার্সেলো ফন গাসে। খেলার শেষ সময়ে মেসি তাকে রাগান্বিত কণ্ঠে গালাগালি এবং চিৎকার করেছেন বলে দাবি গাসের। অভিযোগের তীব্রতা আরো বাড়ে ম্যাচ শেষে অফিসিয়ালদের সঙ্গে মেসির হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানানোয়।
পরে আর্জেন্টিনার ফেডারেশনের কাছে মেসির ব্যাপারে জানতে নোটিশ দেয় ফিফা। অভিযোগের ভিত্তি পেয়ে দ্রুততর সময়ে আলবিসেলেস্তে অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তি পাঠায় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ঘটনার এই অস্বাভাবিক দ্রুত পটপরিবর্তন নিয়েই যত প্রশ্ন বাউজার।
‘খুবই অদ্ভুত লাগে যে, একদিনের মধ্যেই এতোসব কীভাবে হয়ে গেল। আমরা আপিল করার সুযোগই পেলাম না। মেসির জায়গায় কে খেলবে সেটি নিয়েও কাজ করতে পারলাম না।’ বাউজা এভাবেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।
মেসির নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না আর্জেন্টিনা কোচ। বিশেষ করে দল যখন বাছাইপর্বে খাদের কিনারায়। মেসির নিষেধাজ্ঞায় সঠিক বিকল্পও খুঁজে পাননি বাউজা। তবে বাস্তবতা মেনেই পরিকল্পনা করছেন তিনি। এখনই হালও ছাড়ছেন না, ‘আমরা জানি সামনে কঠিন পথ এবং আমাদের লড়তে হবেই।’