নিরাপত্তা শঙ্কা কাটিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ইতিমধ্যে বাংলাদেশ
সফরে সম্মতি জানালেও ক্রিকেটারা এখনও রয়েছে দোটানায়।
টেস্ট অধিনায়ক
অ্যালিস্টার কুক এরইমধ্যে জানিয়েছেন বাংলাদেশে আসছেন তিনি। তবে ওয়ানডে
অধিনায়ক এউইন মরগান ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শেষ মেষ মরগান বাংলাদেশ সফরে রাজি না হলে বিকল্প চিন্তাও করে রেখেছে ইসিবি। তার জায়গায় টাইগারদের বিপক্ষে নেতৃত্ব উঠতে পারে জো রুট কিংবা জর্জ বাটলারের কাঁধে। তবে এখনও ইসিবি আশা করছে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরে আসবেন মরগান।
ধারণা করা হচ্ছে: আসছে সোমবার ট্রেন্টব্রিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টি২০ দল নির্বাচনের সময় মরগান বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।
কুক-মরগানের পূর্বসূরী মাইকেল ভন বাংলোদেশ সফরে আসার জন্য ইংলিশ ক্রিকেট দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ইতিমধ্যে আহ্বান জানিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে টেনে এনছেন পল ফারব্রেস ও ট্রেভর বেলিসওকে।
ইংলিশ ক্রিকেট দলের এই দুই কোচিং স্ট্যাফ ২০০৯ এ পাকিস্তানে যখন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় সে বাসে ছিলেন। এবার রয়েছেন ইংলিশ শিবিরে। তবে তারা পিছিয়ে না গিয়ে এরই-মধ্যে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ভন এ প্রসঙ্গে এক কলামে বলেছেন: ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সকল সদস্যের বাংলাদেশ সফরে যাওয়া উচিত। বাংলাদেশ সফর নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটাররা কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমি সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি। তবু আমার বিশ্বাস, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের ওপর তাদের আস্থা রাখা উচিত এবং সবারই সেখানে যাওয়া উচিত।
অবশ্য যে কুক সবার আগে বাংলাদেশে আসার নিশ্চয়তা দিয়েছেন; তারই এ সফরে আসা নিয়ে সব চেয়ে বেশি অনিশ্চয়তা ছিলো। এই সেপ্টেম্বরেই দ্বিতীয় বারের মতো বাবা হওয়া কথা রয়েছে তার। তাই অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরের সময় পরিবারকেই বেশি সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কুকের জন্য। কিন্তু দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেই বাংলাদেশ সফরে দলের সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে আর সবাই এলেও ইংল্যান্ড ক্রিকেটার ক্রিকেট দলের কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে এবারের সফরে। নির্বাচকেরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জো রুট, বেন স্টোকস ও মঈন আলীকে বিশ্রামে রাখার পক্ষে। যদি মরগান ওয়অনডে দলের নেতৃত্বে আসেন। তাহলে রুটকে এ সফরে আনা হতে পারে।