পঞ্চাশোর্ধ নারী টেস ক্রিশ্চিয়ান। খুব সাধারণ একজন নারী হলেও তিনি অন্যদের চাইতে একটু আলাদা। আর তার কারণ হলো তিনি ত্বকের ব্যাপারে একটু বেশিই সচেতন। এতটাই সচেতন যে বলিরেখা পড়ার ভয়ে তিনি দীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসেননি।
হাসি ছাড়া একটি দিন মানেই সেই দিনটির অপচয় অনেকের কাছেই। সুস্থ থাকতেও হাসির বিকল্প নেই। সেখানে যৌবন ধরে রাখতে হাসি ছাড়া পুরো জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন টেস ক্রিশ্চিয়ান। বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় সবাই হেসেছেন শুধু টেস ছাড়া। এমনকি নিজের সন্তান জন্মের মতো আনন্দের দিনেও মুখ গোমড়া করে ছিলেন তিনি। একটুও হাসেননি। শুধু বলিরেখার ভয়ে না হেসে এত বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
১০ বছর বয়স থেকে হাসি বন্ধ করে দেন টেস। এমন নয় যে তার হাসি পায়না। সুকৌশলে হাসি আটকানোর ব্যাপারটা রপ্ত করে ফেলেছিলেন তিনি। বন্ধুরা তার এই মুচকি হাসি কিংবা হাসি ছাড়া চেহারার কারণে ‘মোনালিসা’ বলেও ডাকা শুরু করেছিল।
অবশ্য এত বছর না হেসে কাটানোর ফলাফল যে তিনি একেবারে পাননি তা কিন্তু নয়। সমবয়সী অনেকের তুলনায় তার বলিরেখা অনেক কম। মুখের মাংসপেশি নিয়ন্ত্রণ করে তিনি বেশ ভালোই ফল পেয়েছেন। জানালেন, অনেকেই তাকে জিজ্ঞেস করে বোটক্স করিয়েছেন কিনা। তিনি উত্তরে বলেন, বোটক্স নয়, টিনএজ বয়স থেকে না হাসায় এত ভালো আছে তার ত্বক। তার মতে, প্রাকৃতিক এই পদ্ধতি বোটক্স কিংবা অন্য যে কোনো বিউটি ক্রিম, ফেসিয়ালের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী। বোরড পান্ডা