চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় অভিযাত্রা তার। বর্ণাঢ্য ‘গ্যালিলিও’, ‘ম্যাকবেথ’ বা ‘দেওয়ান গাজী’। বাংলা মঞ্চনাটকে এক ও অদ্বিতীয় এসব চরিত্রের কুশীলব একজনই। আলী যাকের। টেলিভিশন কিংবা সিনেমা, অভিনয়ের বিশাল শিল্পভুবনে বর্ণাঢ্য তার চার দশকের অভিযাত্রা।
‘নাট্য নির্মাণ ও চরিত্র সৃজনে দুঁদে কারিগর আলী যাকের’র সাথে কিছুক্ষণ’ শীর্ষক এই ভিন্নমাত্রার আড্ডার আয়োজন করেছে ঢাকার মঞ্চে নতুন নাট্যদল থিয়েটার ফ্যাক্টরি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে এ আড্ডার শুরু হবে। বেলা ১টায় শেষ হবে। আড়াই ঘণ্টার আড্ডায় নাট্যজন আলী যাকের তার দীর্ঘ নাট্য অভিযাত্রার অভিজ্ঞতার গল্প শোনাবেন। একইসঙ্গে বলবেন বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প।
আয়োজক সংগঠনের অন্যতম সদস্য অলোক বসু বলেন, ‘একজন আলী যাকের যখন মঞ্চে ওঠেন নূরল দীন কিংবা গ্যালেলিও অথবা ম্যাকবেথ বা দেওয়ান গাজী হয়ে, তখন মিলনায়তনে সৃষ্টি হয় অসাধারণ এক নাট্যাবহ। তার অলোকসামান্য অভিনয় দ্যুতিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে নাটকের চরিত্রেরা এবং রচিত হয় নতুন আর এক ইতিহাস’। তিনি আরও বলেন, ‘আলী যাকের তার সুদীর্ঘ নাট্য অভিযাত্রার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন নিজের বয়ানে। তার সৃজিত চরিত্র ও নির্দেশিত নাটক নিয়ে বলবেন তার শিল্পসঙ্গীগণ। সেই সঙ্গে তার সৃজনকর্মকে ঘিরে নাট্যামোদী ও নতুন প্রজন্মের নাট্যজনদের কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তর দিবেন। সবার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে আলী যাকেরের সাথে নিঃসন্দেহে আমরা খানিকটা ভালো সময় কাটাতে পারবো’।
শব্দ সৈনিক আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইংলিশ প্রোগ্রাম প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি মঞ্চনাটকের সারথি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন সংস্থা এশিয়াটিক এমসিএলের কর্ণধার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একমাত্র জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টেরও অন্যতম সংগঠক তিনি। স্ত্রী আরেক বরেণ্য নাট্যজন সারা যাকের এবং তার দুই সন্তানও অভিনয়ে জড়িত। তাদের নাম ইরেশ যাকের ও শ্রিয়া সর্বজয়া।