ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের রুয়েন শহরের কাছে অবস্থিত
সেইন্ট-এতিয়েনে-দ্যু-রুভরে চার্চে জিম্মির ঘটনায় দুই হামলাকারীর সঙ্গে
জিম্মি পাদ্রীও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফরাসি ও আন্তর্জাতিক
গণমাধ্যমগুলো পুলিশ সূত্র থেকে জানায়, উত্তরাঞ্চলের নরম্যান্ডি এলাকার ওই
চার্চে স্থানীয় সময় সকালে ছুরি নিয়ে দুই হামলাকারী হঠাৎ করে ঢুকে যায় এবং
চার্চের ভেতরে থাকা লোকজনদের জিম্মি করে।
এ ঘটনায় প্রথমে জিম্মি ছিলেন ৬ জন। তাদের মধ্যে একজন পাদ্রী, দুই সিস্টার এবং কয়েকজন প্রার্থনাকারী ছিলেন। এদের একজন জিম্মি করার সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তিনিই চার্চ থেকে বেরিয়ে আশপাশের লোকজনকে ব্যাপারটা জানান।
প্রথমে পুলিশের বরাত দিয়ে ফ্রান্সের কয়েকটি গণমাধ্যম জানায়, হামলাকারী দু’জনকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয়েছে। এর কিছু সময় পর তাদের মৃত্যুর খবর পুলিশ নিশ্চিত করে।
উপস্থিত দমকলকর্মীরা কয়েকজনের আহত হওয়ার কথা জানালেও সংখ্যাটি নিশ্চিত করে জানায়নি পুলিশ। হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জানা যায়নি।
মঙ্গলবারই ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারনার্ড কাযেনেউভের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
ফ্রান্স সম্প্রতি এ ধরণের হামলার কারণে ক’দিন পর পরই আলোচনায় আসছে। গত ১৪ জুলাই দেশটির নিস শহরে বাস্তিল দিবসের উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা চালিয়ে ৮৪ জনকে হত্যা করে তিউনিশিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক মোহাম্মদ লাওয়েজ বুলেল। পরে আইএস বুলেলকে নিজেদের যোদ্ধা বলে দাবি করে।
এর আগে প্যারিসের কাছের ম্যাগনাভিল শহরে পুলিশ কমান্ডারের বাড়িতে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় ২৫ বছর বয়সী লারোসি আব্বাল্লা। ওই হত্যার ভিডিও ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে এক আইএস সমর্থক।