কেন্দ্রে যতক্ষণ লোক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে রাত পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চালানো হবে। তবে সন্ধ্যার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সময় বাড়ানো হবে কিনা।
শনিবার (২৬ ফেব্রয়ারি) ঢাকা মেডিকেলে টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আমরা দেশের সব জায়গায় খবর নিয়েছি। বিভিন্ন কারণে যারা টিকা নিতে পারেননি তারা আসছেন। বিজিএমইএ, মিল মালিক, দোকান মালিক সমিতি, কর্মচারী সমিতি, বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে সবাইকে আজ টিকা দেওয়ার জন্য আমরা উদ্বুদ্ধ করেছি। টিকা দিতে আসার এই সময় তাদের ওয়ার্কিং আওয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আজ দেশের এক কোটি মানুষকে দেওয়া হবে করোনা টিকার প্রথম ডোজ। প্রস্তুত করা ২৮ হাজার কেন্দ্রে সকাল থেকে শুরু হয়েছে টিকা দেওয়া। এর মধ্য দিয়ে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার টার্গেট পূরণের প্রত্যাশা করছে সরকার।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমেও নেওয়া যাবে টিকা। এক কোটি মানুষকে টিকা কার্যক্রমের দিন দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজপ্রত্যাশীদের শৃঙ্খলায় আনতে পৃথক জোনে ভাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।
অন্যদিকে রাজধানীর বেশিরভাগ কেন্দ্রে বেড়েছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। সকাল থেকেই ভিড় করছেন টিকাগ্রহীতারা। আজকের পর থেকে করোনার প্রথম ডোজপ্রত্যাশীরা টিকা পেতে কম গুরুত্ব পাবেন, এ ঘোষণার উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে। এত দিন যারা নানা অজুহাতে টিকা নেননি, বাড়ির কাছে পেয়ে ছুটে যাচ্ছেন করোনার সুরক্ষাবর্ম নিতে।
সারা দেশে ২৮ হাজার বুথে শনিবার সকাল ৯টা থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। এসব বুথে টিকা দেওয়ার কাজে যুক্ত রয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ১ লাখ ৪২ হাজার জন। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের বাইরেও পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ দল (তারাও টিকা দেবেন) রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে ৩০ থেকে ৫০টি করে বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
লোকজনকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে গত কয়েক দিন মাইকিং, গণবিজ্ঞপ্তিসহ বিশেষ প্রচার চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানিয়েছিলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার শেষ দিন। এরপর আর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে না।
দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি।এরপর থেকে গত বৃহস্পতিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি মানুষ। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ১৭ লাখের বেশি মানুষ।