এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা রোববার থেকে শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
কেন্দ্র পরিদর্শন করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষা গ্রহণের সময় ও বিষয় দু’টোই কমানোর পক্ষে তিনি। তবে এই প্রথম আগের মতো কোনো কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শন করেননি মন্ত্রী কিংবা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্তাব্যক্তি।
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শনের দৃশ্য: শিক্ষামন্ত্রী, সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গণমাধ্যমের বিশাল বহর। এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয় চ্যানেল আইয়ে। এমনই অবশ্য হয়ে আসছিলো বরাবর।
তবে এবার এইচএসসি পরীক্ষার শুরুর দিনের চিত্র ভিন্ন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দিনের রেওয়াজ ভেঙ্গে এবার পরীক্ষার হলে না ঢুকে আমরা হলের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছি। তিনি নিশ্চিত করেন, সরকার যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলো, সে অনুসারেই পরীক্ষা সবখানেই শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্ত্রী মনে করেন, কয়েক মাস ধরে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়াটা শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ দীর্ঘ সময়। তাই পরীক্ষাগুলো সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে নিতে চাচ্ছে সরকার।
‘সেই অনুযায়ী আমরা এগোবো,’ বলেন মন্ত্রী, ‘কিন্তু এ কথা আমি এখনই বললে অভিভাবকরা বিস্মিত হয়ে আমাকে চেপে ধরবেন, এটা কীভাবে সম্ভব। তারা কোনো পরিবর্তন চান না। আমরা পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে গেলে এই বাধাগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। শুধু প্রশ্ন ফাঁস বা কোচিং বাণিজ্য নয়; আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। ঠিকমতো ক্লাস হয় না। পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে যায়। এসব সমস্যা নিরসনে আমরা কাজ করছি।’
সকাল ১০টায় পরীক্ষা, তবে যানজট এড়াতে ৮টা থেকেই কেন্দ্রে আসতে শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। এবারই প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ আগে নেয়া হয়। ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে পরের দু’ঘণ্টায় নেয়া হচ্ছে সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৯ জুলাই শেষ হবে। ১১ জুলাই ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জুলাই।