পরীক্ষামূলকভাবে প্রত্যেক পরিবারের ওপর নূন্যতম কর আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী বাজেটেই অর্থমন্ত্রী এই ঘোষণা দিতে পারেন। ১৬ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ১১ লাখ করদাতা থাকার বিষয়টিকে ‘অ্যাবসার্ড’ বা অযৌক্তিক বলেছেন তিনি।
গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)-এর আলোচনায় প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে কর দাতা মাত্র ১১ লাখ। কর প্রদানে এই অনীহাকে জাতীয় লজ্জা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় দুটি প্রবন্ধে পিআরআই-এর গবেষক ড. আহসান এইচ মুনসুর এবং ড. সাদিক আহমেদ বাজেটে বাড়তি অর্থের উৎস এবং খরচের খাত নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ড. মুনসুরের মতে পে-রোল ট্যাক্স হতে পারে রাজস্ব আয়ের আরেক বড় খাত। সস্তা মানের বিড়ি এবং বেশি দামের সিগারেট দু’জায়গাতেই কর হার পুর্নবিবেচনা করে ৪ হাজার কোটি টাকা বাড়তি কর পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন গবেষকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নও ডক্টর ফরাসউদ্দিনও গবেষকদের সাথে একমত পোষণ করে তামাক-খাতকে রাজস্ব আদায়ের ‘খনি’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, তামাক-খাত থেকে সরকার বিপুল রাজস্ব আদায় করতে পারে। এ খাতে সরকারের পলিসি পুর্নবিবেচনা করাও আহবান জানান তিনি।
কর দিতে অনীহার জন্য রাজস্ব কর্মকর্তাদের ব্যবহারকে দায়ী করেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নাসিম মঞ্জুর।
পিআরআই-এর আলোচনা সভায় তিনি বলেন, করদাতারা নিয়মিত কর দিয়ে গোটা কর কাঠামোকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। এজন্য করদাতাদের পুরস্কৃত না করে উল্টো নানা বিধি-নিষেধ আরোপ, শাস্তি এবং সরকারি লক্ষ্যমাত্রাপূরণে তাদেরকেই বাধ্য করা হচ্ছে।
আলোচনা সভায় গবেষক-বক্তাদের আলোচনা, সুপারিশ শোনার পর কর আদায় বাড়াতে গবেষকদের প্রস্তাবনা বিবেচনার আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আগামী ৪ জুন সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার বাজেটের সম্ভাব্য আকার হবে ৩ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি।