সহসা কাটছে না অষ্টম পে-স্কেল নিয়ে বিতর্ক। তীব্রতর হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন। সংকট সমাধানে পে-স্কেল নিয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের পাশাপাশি পে-স্কেলে বিদ্যমান সব অসংগতি দূর করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
অষ্টম পে-স্কেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদার অবনমনের অভিযোগ এনে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দাবি মানা না হলে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জানুয়ারি শুরু হবে অবিরাম কর্মবিরতি।
প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ঘন্টার কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ায় তৃতীয় গ্রেড থেকে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি বন্ধ হবে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ জানুয়ারি বিবৃতিতে দেওয়া হলেও সে বিবৃতিতে ধোঁয়াশা না কাটার অভিযোগও তাদের।
টেলিভিশন এন্ড ফিল্ম স্ট্যাডিজের চেয়ারম্যান এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, দ্বিতীয় গ্রেডের ২৫ ভাগ প্রথম গ্রেডে যাবেন। তারা কিভাবে যাবে সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যাবেন। এটি ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই নিয়ম আছে শিক্ষকরা কিভাবে কোন গ্রেডে যাবেন।’
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সিদ্ধান্ত দিয়ে যে প্রজ্ঞাপণ পাঠিয়েছে সেটি মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত নয়। আর এটা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নয়, এই নির্দেশনা আসলে আসতে পারে আইন অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।
জটিলতার জন্য প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের।