ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের মেধাবী সন্তানদের এই প্রথম দেয়া হলো ডিএমপি’র শিক্ষাবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন: ডিএমপি’র নিম্ন পদস্থ সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ শিক্ষাবৃত্তি।
শনিবার রাজারবাগ শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে দুপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ডিএমপি’র শিক্ষাবৃত্তি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন: ডিএমপি’র ৩৪ হাজার সদস্যের অধিকাংশ নিম্নপদস্থ হওয়ায় তাদের বেতন অনেক কম। কম বেতনে নিজের পরিবারের খরচ মিটিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। আমরা জানি তাদের সন্তানেরা অত্যন্ত মেধাবী কিন্তু তাদের আর্থিক সমস্যার কারনে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। তাদের সহায়তা করার জন্য এ শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে।
কমিশনার আরও বলেন, আমাদের সন্তানেরা অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে, এটা হতে দেয়া হবে না। এই শিক্ষাবৃত্তিকে চলমান রাখতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করবো। যাতে করে যুগ যুগ এই বৃত্তি চলমান থাকে।
তিনি বলেন, আপনাদের কল্যাণের জন্য সম্ভাব্য সকল ধরনের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করবো। আমার ফোর্স আমার সন্তানের মত। আমার পরিবারের জন্য যেমনটি আমি করি, ঠিক আপনাদের জন্যও আমি তাই করবো।
সকলের প্রচেষ্ঠায় আজ আমরা শিক্ষাবৃত্তিকে বাস্তব রূপ দিতে পেরেছি জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবান জানান।
ডিএমপি’র ৪৩ বছরের ইতিহাসে এ শিক্ষাবৃত্তি একটি মাইলফলক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(সিটিটিসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা হয়তো থাকবো না কিন্তু এই শিক্ষাবৃত্তি আর বন্ধ হবে না। চলমান থাকবে। যতদিন যাবে এই ফান্ডের পরিধিও বৃদ্ধি পাবে।
২০১৬ সালের পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করায় ও উচ্চশিক্ষা সহায়তা প্রদানের লক্ষে তিন ক্যাটাগরিতে ৬৫৯ জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া।
শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিক ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমানসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।