মৃত্যুর আগেই মরণোত্তর চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন করে সদ্যপ্রয়াত ভারতের কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শীর্ষ তারকা পুনীত রাজকুমার। অভিনেতার ইচ্ছে অনুসারে তার মৃত্যুর ছয় ঘণ্টার মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
নারায়ণ নেত্রালয়ের চিকিৎসকদের একটি দল এই কাজটি করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। সেই সফল অস্ত্রোপচারের পর পুনীতের দান করা দুই চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন চারজন। যাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী বলে জানা গিয়েছে।
তবে এটাই প্রথম নয়, পুনীত রাজকুমারের বাবা কিংবদন্তী অভিনেতা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার পুরো পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান করবে। এর আগে পুনীতের বাবা ও মায়ের মৃত্যুর পরেও তারা চক্ষু দান করে দিয়েছিলেন।
পুনীতের দান করা চোখে ইতোমধ্যেই তিন পুরুষ ও একজন নারীকে ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় চক্ষু হাসপাতালে তাদের সার্জারি হয়।
বিধি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় রোগীদের নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এ সার্জারি হয় এবং তা করা হয় বিনামূল্যে।
নারায়ণ নেত্রালয়ের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ভুজং শেঠি জানিয়েছেন, কর্ণাটক রাজ্যে এই প্রযুক্তি প্রথম বার প্রয়োগ করা হয়েছে, যেখানে চারজনকে চক্ষুদান করা হয়েছে। সবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে একজনের চোখ দিয়ে চারজন কীভাবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে? এর উত্তর হলো, প্রতিটি চোখের কর্নিয়া অর্ধেক করে কাটা হয়, সামনের এবং দ্বিতীয় অংশটি বিভিন্ন উপকারভোগীদের দান করা হয়।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) মাত্র ৪৬ বছর বয়সে জিমে শরীরচর্চা করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন পুনীত রাজকুমার। এরপর বেঙ্গালুরুর বিক্রম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে রবিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে রাষ্টীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হয়।