পাল্টে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালা জাতীয় জাদুঘর। জাদুঘরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, এ বছরের মধ্যে ফ্রান্সের লুভ মিউজিয়াম থেকে ২০টি মসলিন সংগ্রহের কাজ চলছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপ্রকাশিত দুর্লভ ছবি নিয়ে হতে যাচ্ছে প্রদর্শনী।
প্রাচীন বাংলা থেকে আধুনিক বাংলাদেশ। প্রাচীন, সুলতানী, বর্তমান বাংলাদেশের নানা মুদ্রা থেকে হাতির দাঁত থেকে তৈরি পাটি, সবই আছে রাজধানীর শাহবাগে দেশের সব চেয়ে বড় সংগ্রহশালা জাতীয় জাদুঘরে। আছে দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতানখ্যাত মহিসুরের নবাব টিপু সুলতানের তরবারি, সিরাজউদদৌলার ব্যবহৃত কার্পেট, তরবারি। দুর্লভ এসব সংগ্রহ দর্শনার্থীদের এক ঝলকে নিয়ে যাবে সুবে বাংলায়।
জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী জানান, কহিনূর যে হিরক খন্ডটি রয়েছে সেটি বিট্রিশ মিউজিয়ামে আছে। তবে এটি ভারতের সম্পত্তি। ওই সময় যেই হিরার খনি থেকে তা উত্তোলিত হয়েছিলো তার একটি জোড়া খনি রয়েছে তার নাম দোরিয়া-ই নূর। এটি ঢাকা শহরেই আছে। সেই হিরাটি সংরক্ষণ করার চেষ্টা চলছে।
জাদুঘরে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে এরই মধ্যে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে কাজী স্যার সলিমুল্লাহকে কেন্দ্র করে একটি প্রদর্শনী করা হবে। তার যে ৪৪টি নানা ধরনের নিদর্শন রয়েছে যার মধ্যে ওই অমূল্য ধন হিরো খন্ডটি নিয়ে চমৎকার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
জাদুঘরের সংগ্রহশালার লাইট এন্ড সাউন্ড শো অংশে বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রহশালা। নতুন যুক্ত হচ্ছে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট এবং প্রথম ক্যবিনেটের টেবিল-চেয়ার। নতুন পরিকল্পনাও রয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের।
ফয়জুল লতিফ চৌধুরী আরো জানান, ১৭ আগস্ট আমরা বিজিপ্রেস থেকে সেই মুদ্রন যন্ত্রটি সংগ্রহ করবো যেই মুদ্রন যন্ত্রটি বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে প্রথম ছাপা হয়েছিলো। এটি ফেব্রুয়ারি মাসে মসলিন উৎসবে প্রদর্শনী হবে।
মঙ্গোলিয়া থেকে ডায়নোসরের ডিমসহ এ বছর নতুন সংগ্রহ আসলে দর্শনার্থীরা যেমন নতুনত্ব পাবেন তেমনি গবেষণার জন্য আরো সমৃদ্ধ হবে শতবর্ষী জাদুঘর।