কয়েকঘণ্টা আগে স্পোর্টিং গিজনকে উড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে জিতে তাদের টপকে আবারো শীর্ষে ফেরার সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। সেটি তো হয়ইনি, উল্টো দুর্বল লাস পালমাসের সঙ্গে হারতেই বসেছিল বার্নাব্যুর দলটি। অবশ্য রোনালদো ম্যাজিকে ড্র করে একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
ম্যাচের শেষদিকে তিন মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলে পালমাসের বিপক্ষে ৩-৩ ব্যবধানে ড্র করেছে রিয়াল। অন্য গোলটি ইসকোর।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বুধবার রাতের ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখেছেন কদিন আগেই চোট কাটিয়ে ফেরা গ্যারেথ বেল। যাতে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটাই দশজন নিয়ে খেলতে হয় রিয়ালকে।
তার আগে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই জালে বল পাঠিয়েছিলেন আলভারো মোরাতা। রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে সে দফা উল্লাসে মাতা হয়নি স্বাগতিকদের। এর ছয় মিনিট পর এগিয়ে যায় রিয়াল। মাতেও কোভাসিচের রক্ষণচেরা পাসে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইসকো।
সেটি অবশ্য দশ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। পালমাসকে সমতায় ফেরান তানা ডোমেনগুয়েজ। প্রথমার্ধ ১-১’ই থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড জোনাথান ভিয়েরাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন বেল। ওয়েলস ফরোয়ার্ড তখন মেজাজ হারিয়ে আরেকবার ধাক্কা মেরে বসেন ভিয়েরাকে। দ্বিতীয় ফাউলে রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন বেলকে।
কিছুপরই তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল হজম করে বসে রিয়াল। ৫৬ মিনিটে সার্জিও রামোস নিজেদের বক্সে বলে হাত ঠেকালে পেনাল্টি পায় পালমাস। স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন ভিয়েরা। আর ৫৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে স্কোরলাইন ৩-১ করেন কেভিন প্রিন্স বোয়াটেং।
একসময় মনে হচ্ছিল রিয়াল বুঝি পূর্ণ পয়েন্টই হারাতে যাচ্ছে। তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন রোনালদো। ম্যাচের ৮৬ ও ৮৯ মিনিটে তার জোড়া গোলের রোমাঞ্চের সাক্ষী হয় স্বাগতিক দর্শকরা। প্রথমে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমানোর পর হামেস রদ্রিগেজের কর্নারে দারুণ এক হেডে স্কোরলাইনে সমতা টানেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
পালমাস-শামুকে পা কাটলেও শীর্ষে ফেরার দারুণ সুযোগ রয়েছে রিয়ালের। তারা যে বার্সার থেকে একটি ম্যাচ কম খেলেছে। ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে তারা। আর ২৫ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সা। টেবিলের ১২তম স্থানে থাকা পালমাসের পয়েন্ট সেখানে ২৫ ম্যাচে ২৯!