দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার এর মত ক্ষতিকর অনলাইন গেম আপাতত ৩ মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালত তার রুলে এ ধরণের গেমসের পাশাপাশি টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকি’র মত অ্যাপ কেন দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। সেই সাথে এ ধরণের গেমস ও অ্যাপের মাধ্যমে কী পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে তা নিরুপনে এবং লেনদেনের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিকর অনলাইন গেমস ও অ্যাপের বিষয়ে তদারকি এবং গাইডলাইন তৈরি করতে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এই রিটের বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গত ২৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এই রিট করেন। রিটে দেশের অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার এবং লাইকিসহ এ ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধ করে অবিলম্বে অপসারণে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সাথে এসব অ্যাপ ও গেমসের আড়ালে শত-শত কোটি টাকা পাচার ও লেনদেনে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে তরুণদের জন্য ক্ষতিকর গেমস ও অ্যাপ বন্ধে বিআরটিসিকে সুপারিশ করার কথা বলা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে এই রিটে বিবাদী করা হয়।