বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত বাংলাদেশ। এ দুর্যোগের শুরু থেকেই নানামুখী সেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ক্রান্তিকালে দেশের জনগণের সহযোগী হয়ে মাঠে রয়েছেন তারা। কখনো কৃষকদের ধান কেটে, কখনো নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের দাফন, কিংবা এই মহামারীতে অসহায় হতদরিদ্রদের ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর অগ্রনায়ক ছাত্রলীগ। এর ব্যতিক্রম নয় নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। কিন্তু এই সংকটে তারাও আছে অর্থনৈতিক সমস্যায়।
এবার সেই সব অসচ্ছল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরি ও তরুণ রাজনীতিবিদ এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরী।
স্থানীয় প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার অসচ্ছল ছাত্রলীগ ও তাদের পরিবার পাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী।
এ বিষয়ে একরাম চৌধুরী বলেন: বহু বছর পর ছাত্রলীগের প্রশংসনীয় কাজ চোখে পড়েছে। তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করোনার এই দুঃসময়ে প্রশংসার দাবি রাখে। তারাও বিভিন্ন সংকটে রয়েছে। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না। তাই এবারের ঈদে আমার স্থানীয় ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আড়াই হাজার ছাত্রলীগের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।
সাবাব চৌধুরী বলেন: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাবা প্রথম দিন থেকেই একের পর এক যুগান্তকারী সব কর্মসূচী নিয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন। বাবার এমন কর্মকাণ্ডে আমি সবসময় গর্ববোধ করি। ছাত্রলীগ সবসময় প্রশংসনীয় কাজ করে। তাদের জন্য বাবা এবং আমার ব্যক্তিগত উদ্দোগে এই কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছি। আমি আশা করি ঈদ আনন্দে এই উপহার ছাত্রলীগের মধ্যে শক্তি যোগাবে। আর সেই শক্তির বলেই করোনা মোকাবেলায় ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু থেকেই নোয়াখালী মানুষের পাশে রয়েছেন এমপি একরামের পরিবার। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে আছেন তারা।