ফল, বন ও ঔষধি গাছের বাগানে ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল করসোলের চাষ হচ্ছে নীলফামারীর ডিমলায় বন্দর খড়িবাড়ি গ্রামে। অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আসলাম
রাইসুল গনির বসতবাড়ির আঙ্গিনায় দুই একর জমিতে তিন শতাধিক গাছের মধ্যে আরো
রয়েছে জারুরবালি, চেরা, আলুবোখরা ও অন্যান্য গাছ।
গাছের প্রতি আগ্রহ থেকে আসলাম তার বাড়ির আঙ্গিনায় মানবদেহের জন্য উপকারি দেশি-বিদেশি নানা জাতের গাছের চারা রোপন করেছেন।
তিনি জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সময় যে দেশেই গেছেন, সেখান থেকে ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন চারা সংগ্রহ করে দেশে এনেছেন। ২০১১ সালে আইভরিকোস্ট থেকে নিয়ে আসেন ক্যান্সার প্রতিরোধক করসোল গাছের চারা।
আসলাম বলেন, নতুন কোনো প্রজাতির গাছ যখনই দেখেছি তখনই সেটা ঔষধি বা ফলজ হোক তা নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।
দূর দূরান্ত থেকে অনেকে আসছেন করসোলের পাতা ও ফল নিতে। বাগান পরিচর্যাকারী জানান, ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে।
ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধক করসোল ফলটি কেমোথেরাপির চেয়েও হাজার গুণ বেশী কাজ করে জানতে পেরে সুনামগঞ্জ থেকে এক ব্যক্তি যান ওই ফল কিনতে।
দেলোয়ারা নামের এক ব্যক্তি বলেন, পত্রিকায় দেখে আমি এটা নিতে নীলফামারিতে এসেছি।
করসোলের চাষ বাড়ানো ও গবেষণা করা জরুরী মনে করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ূণ কবির বলেন, কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি যাতে করে এগুলোর চাষ বাড়ানাে যায়। তবে সেই সাথে এগুলো নিয়ে আরো গবেষণা করা দরকার।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসছেন এ ঔষধি বাগান দেখতে।