সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের ২০১৯ সালের নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় ইউরোপিয় ইউনিয়ন। সে জন্য নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি ঠিক করতে তাগিদ দিয়েছে তারা। তবে সরকার পদ্ধতি নিয়ে নিজেদের ধারণা চাপিয়ে দিতে চায়না ইইউ।
তিন দিনের সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় না। তিন দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রীসভার সদস্যদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃত্ব, কূটনীতিক, সুশীল সমাজ এবং তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচিত হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ইস্যুগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলটির প্রধান জেন ল্যাম্বার্ট বলেন, মুক্তচিন্তা চর্চার সুযোগ ব্যতিরেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। ব্লগার হত্যার সুষ্ঠু ও ধারাবাহিক তদন্ত, মানবাধিকার সংস্থাকে শক্তিশালী করার তাগিদের পাশাপাশি ল্যাম্বার্ট ইউরোপিয়ানদের কর্তব্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
অবশ্য তৈরি পোশাকের সঠিক দামটাও নিশ্চিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। মানবতা বিরোধী অপরাধী আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড ইস্যুতে লেখা তাদের চিঠিতে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ সৃষ্টি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে ল্যাম্বার্ট বলেন, আমাদের অবস্থান কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে নয় বরং মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।