বাড়ি থেকে বেরিয়ে আহমেদাবাদে গিয়ে মারা গেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার জসপ্রিত বুমরাহর ৮৪ বছর বয়সী দাদু। শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রোববার স্থানীয় দমকল বাহিনী সবরমতী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে।
জসপ্রিত বুমরাহ ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলিংয়ের প্রধান ভরসা। আলো ঝলমলে দুনিয়ায় তিনি সুখেই আছেন, কিন্তু তার বৃদ্ধ দাদু অভাবের তাড়নায় অটো চালিয়ে জীবনযাপন করতেন!
২০১৪ সালে বিশ্বক্রিকেটের নজরে আসেন বুমরাহ। সেবার আইপিএলের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১.২ কোটি রুপি দিয়ে তাকে দলে নেয়। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
জসপ্রিত বুমরাহ তরতর করে সামনে এগিয়ে গেলেও তার অতীত ঠিকই পেছনে রয়ে গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ৮৪ বছরের সান্তোক সিং বুমরাহ উত্তরাখন্ডের উদ্দাম সিং নগরে থাকতেন। ভাড়া বাসায় থেকে অটো চালাতেন।
২০০১ সালে বুমরাহ পরিবারে নেমে আসে কষ্টের ছায়া। তারকা ক্রিকেটারের বাবা জসবীর সিং বুমরাহ তখন মারা যান। সেই থেকে জসপ্রিতের মা স্কুলশিক্ষিকা দলজিৎ ৭ বছরের বুমরাহকে নিয়ে বিপাকে পড়েন।
ফ্যাক্টরি বিক্রি করার পর সান্তোক সিং উত্তরাখন্ডে চলে যান। সেখানে চারটি টেম্পো কেনেন। কিন্তু সেই ব্যবসাও দাঁড় করাতে পারেননি। এরপর নিজেই অটো চালাতে নামেন।
অন্যদিকে মায়ের কাছে থেকে ক্রিকেটটা চালিয়ে যান জসপ্রিত। ২০১৬ সালে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়। এরপর ধীরে ধীরে নিজের জায়গা পাকা করেন।
জসপ্রিত যখন খেলতে নামেন, তখন অন্য সবার মতো তার দাদুও টিভিতে চোখ রাখতেন। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, নাতির দেখা না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন এই বৃদ্ধ।