Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

নতুন বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১, সুস্থ ২৩

দেশে নতুন বছরে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে এখন পর্যন্ত ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৩ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৮ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. এ বি মো. শামছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়: এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে আটজন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ঢাকায় ও তিনজন রাজধানীর বাইরে ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।

সরকারী প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে ২৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টর ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ১২টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়। আইইডিসিআর ৯টি ঘটনার পর্যালোচনা শেষ করে সাতটি মৃতু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।

২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা যায় এবং সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী মশাবাহিত এ রোগে ১৭৯ জন মারা যান।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়ে অবশ্যই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যেমন আমাদের মশারি টানাতে হবে, মশার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, সিটি করপোরেশনগুলোর মশা নিধনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। ঘর বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার রাখতে হবে। জমা পানি রাখা যাবে না।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা কী করতে হবে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, এমনকি কোনো চিকিৎসা না করালেও। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গু জনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়। ডেঙ্গু জ্বরটা আসলে একটা গোলমেলে রোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়।

সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।

জ্বর কমানোর জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধই যথেষ্ট। এসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথার ঔষধ কোনক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।

Exit mobile version