দলীয় সদস্যদের ভোটাভুটিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোটকে হারিয়ে দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন ম্যালকম টার্নবুল। অস্ট্রেলিয়ায় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীও হতে যাচ্ছেন সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী। টার্নবুলের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার বসায় আশার আলো দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার সমকামীরা।
মাত্র মাস খানেক আগেই পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পেতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু ওই সময় সমকামীদের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন টার্নবুল। আর সমকামী বিয়ের বিরোধীতা করে নিয়ে গণ বিতর্কের আয়োজন করলে ১৫৮ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছিলেন অ্যাবট।
টার্নবুল প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় সমকামী ইস্যু ছাড়াও প্রভাব পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু ও তথ্যপ্রযুক্তি নীতিতে। অর্থনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার সহ দেশটির প্রতিবেশ দেশ নিউজিল্যান্ডের বাজারেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ফক্স নিউজ জানায়, টার্নবুল প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় বেশ কয়েকটি ইস্যুতে পরিবর্তন আসতে পারে, যার মধ্যে জলবায়ু ইস্যু ছাড়া সমকামী বিয়ে বৈধতার বিষয়টি বড় করে দেখানো হয়েছে। তার সময়ে সমকামীদের বিয়ে বৈধতা পেতে পারে বলেও জানায় ফক্স নিউজ। তবে দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সমকামীদের নিয়ে নিজে এখনো সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি টার্নবুল।
টনি অ্যাবট ক্ষমতায় আসার আগে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তবে খুব একটা সফল হয়েছেন তার বলা যাবে না। দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার টার্নবুল বলেছেন, নীতির পরিবর্তন হবে না , তবে জলবায়ু পরিবর্তন রক্ষায় কার্বন নির্গমন রোধে নতুন পরিকল্পনা যোগ হতে পারে।
টার্নবুল প্রধানমন্ত্রী হলে পরিবর্তন আসতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। ‘জেডি ডটনেট’ জানায়, বহু আগে থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ টার্নবুল। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের এই খাতে ব্যাপক উন্নতি হতে পারে। টার্নবুল প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তাকে স্বাগত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বেসরকারি ইন্টারনেট সংস্থাও।
নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বাজার অর্থনীতির মতো তার প্রতিবেশি দেশগুলোতেও প্রভাব পড়বে। টার্নবুল নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের শেয়ারবাজারে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে।
তবে অনেক আশার মধ্যেও কিছুটা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিখ্যাত ‘টাইম’ পত্রিকা। গত ২ বছরে চারজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এতো কম সময়ের কারণে টার্নবুল অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিকে কতা রক্ষা করতে পারবেন সে নিয়ে সন্দেহ পত্রিকাটির।