জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বটতলায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাস্তা আটকে ছিলেন এক শিক্ষক। এর প্রতিবাদ করায় দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ‘শারীরিক লাঞ্ছনার’ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে দুইপক্ষই।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকেই শাস্তি দিয়ে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ওই বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন কলাম লেখক ও উন্নয়নকর্মী শাশ্বতী বিপ্লব।
তিনি লিখেছেন, জাহাঙ্গীরনগর নিয়ে আমার কিছু বলতে ইচ্ছা করে না। একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী বই তো নই। তারপরও মাঝে মাঝে না বলেও থাকতে পারি না।
এইতো আজ প্রসাশনের সিদ্ধান্তে শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে গেলো এক ছাত্রের। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হযেছে। অপরাধ গুরুতর (!)
– সে সদ্য বিদেশ ফেরত ভিন্ন ডিপার্টমেন্টের এক শিক্ষিকাকে চিনতে পারেনি।
– সে নিয়ম ভেঙ্গে ভুল জায়াগায় শিক্ষিকার গাড়ি পার্ক করার প্রতিবাদ করেছে।
– শিক্ষিকা জানার পরও অন্যায়টা মাথা পেতে নেয়নি। তর্ক করে গেছে এবং বলেছে শিক্ষিক হলেও আপনি নিয়ম ভাঙতে পারেন না।
– শিক্ষিকা তার আঙুল মুচড়ে দিয়েছেন, দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন, তারপরও বোকা ছেলেটা থামেনি।
এরপরে শাশ্বতী বিপ্লব লিখেছেন, অপরাধ গুরুতরই বটে। ছেলেটা বুঝতে পারেনি এর পরিণতি কি হতে পারে। ধারণা করতে পারেনি শিক্ষকদের হাত কত লম্বা হতে পারে। বিশ্বাস করতে পারেনি, ছাত্রছাত্রীদের সন্তান হিসেবে দাবি করলেও তারা কখনোই তাদের সন্তান নন। তাই ক্ষমা চাইলেও তাকে ক্ষমা করতে অস্বীকার করা হবে। লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেয়া হবে।
আমি প্রসাশনের কেউ নই। কারো সাথে যোগাযোগও নেই। শিক্ষিকাকেও আমার কিছু বলার নেই। শুধু সেই ছাত্রের ভবিষ্যত আর তার পরিবারের কথা চিন্তা করে অক্ষম আমি একখান স্ট্যাটাস দিয়ে দায় সারলাম। আমি আর কি করতে পারি?
সবশেষে তিনি লিখেছেন, শুধু দেখতে চাই, এখন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কোন আন্দোলন গড়ে ওঠে কিনা। অপেক্ষায় থাকলাম।