৭ বছর বয়সী জয়নাব আমিনের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব। দ্বিতীয়দিনের মতো পাঞ্জাবের কাসুর শহরে মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষে বুধবার কমপক্ষে ২ জন নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি নিহত সেই শিশুর লাশ আবর্জনার স্তুপে ফেলে দেয়া হয়েছিল। শুধু জয়নাবই নয়, এর আগে এমন বর্বরোচিত ঘটনার সাক্ষী আরও বহুবার হতে হয়েছে স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, এতকিছুর পরও পাঞ্জাব প্রদেশের কর্তৃপক্ষ শিশুদের নিরাপত্তার জন্য তেমন কিছুই করছে না। এমন নৃশংস হত্যার ধারাবাহিকতার পরও তারা নিষ্ক্রিয়।
তবে পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ শেহবাজ শরীফ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া খুনিদের ধরিয়ে দিতে ১ কোটি পাকিস্তানি রূপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন তিনি।
জয়নাব হত্যার আগে একই এলাকায় আরও যে ১১টি শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে তাদের সম্পর্কেও বিস্তারিত জানানোর জন্য পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন শেহবাজ শরীফ।
এরপরেও বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক আইনপ্রণেতা নাইম সাফদার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙচুর চালিয়েছে। এছাড়া তারা শেহবাজ শরীফের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেয়।
জয়নাবের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। তার মুখে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, রিপোর্টটি তৈরির দুই বা তিন দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
জানুয়ারির চার তারিখে জয়নাব অপহরণের শিকার হয়। সেসময় তার বাবা-মা ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন। এখন পাকিস্তানে ফিরে আসা জয়নাবের বাবা মুহাম্মদ আমিন আনসারি বলেন, তার সন্তানকে ফিরে পেতে পুলিশ তেমন কিছু করেনি। দায়ীদের গ্রেপ্তারের আগে সন্তানের কবর দেবেন না বলেও জানান তিনি।