বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) সারওয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, ঘটনার দিন রিফাত তার পিতার কর্মস্থল স্থানীয় টার্কি মুরগির ফার্ম হতে বাসায় আসার সময় তাহির সঙ্গে তার নানির বাড়ির পাশে তিন রাস্তার মোড়ে দেখা হয়। তাহি জানতে চায় তার নানি কোথায় আছে পরে তাহিকে নানীর কাছে নিয়ে যাবার মিথ্যা কথা বলে বাড়ির পাশে কাশফুলের জঙ্গলে নিয়ে যায় ও তাহিকে ধর্ষণ করে রিফাত। তাহি জানায় বাড়িতে বলে দিবে, এ কথা শুনে পাশে পড়ে থাকা একটি ইট দিয়ে উপযুক্ত আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে রিফাত। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন শিশু তাহির মা আবিদা সুলতানা ও বাবা মো. হুমায়ূন কবীব। জানতে চাইলে তারা দুজনেই দোষী রিফাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। আবিদা সুলতানা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, রিফাতদের পারিবারিক অবস্থা খারাপ থাকায় রিফাতের বাবাকে টার্কি ফার্মে চাকরি দিয়েছিলাম। রিফাত আমার মামাতো বোনের ছেলে, চেয়েছিলাম এখানে চাকরি করলে তাদের দুর্দশা কেটে যাবে। কিন্তু উল্টো আমার বিপদ হল, আমার ছোট মেয়েটাকে নৃশংসভাবে হত্যা করল। নিজের শিশু সন্তানের হত্যাকারীর ফাঁসি চেয়ে হুমায়ূন কবীর বলেন, আমি চাই না আর কারো সন্তানের এ অবস্থা হোক।
ভিডিও: আরেফিন তানজীব