বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোপন আস্তানা এবং ক্যাম্প আছে বলে বর্ডার গার্ডস অব বাংলাদেশ (বিজিবি)এর হাতে তথ্য দিয়েছে ভারত। আগেও এরকম তথ্য দেওয়ার পর কোনো ক্যাম্পের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেক্টর হেডকোয়ার্টারগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য এক বড় আতঙ্কের নাম হচ্ছে উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠন। দেশে দেশে এর চরিত্র ভিন্ন। ভারতের জন্য বছরের পর বছর বিষফোঁড়া হয়ে আছে কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।
নরেন্দ্র মোদি যখন বাংলাদেশ সফর করছিলেন, তখনই তিনি মিয়ানমার সীমান্তে অভিযান চালাতে ভারতীয় বাহিনীকে সবুজ সংকেত দেন। বাংলাদেশে ভারতীয় কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের গোপন কার্যক্রম না থাকলেও গত সপ্তাহে কলকাতা এবং শিলংয়ে দু’ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ে।
এ বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক মে. জে. মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করার পরপরই দুই দেশের আঞ্চলিক কমান্ডার এবং সীমান্ত পর্যায়ে আইজিদের মধ্যে দুটি কনফারেন্স হয়েছিলো। তার মধ্যে একটি শিলংয়ে এবং আরেকটি পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের ধারণা, বাংলাদেশে তাদের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর গোপন আস্তানা বা ক্যাম্প রযেছে। এ বিষয়ে ভারত বিজিবিকে বেশ কিছু তথ্যও দিয়েছে। এ তথ্যগুলো বিজিবি তাদের হেড কোয়ার্টারে পাঠিয়েছে এবং এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আঞ্চলিক সেক্টরগুলোকে বিজিবির উর্ধতন পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদির সফরের ধারাবাহিকতায় দু’ দেশের সম্পর্ক সবসময় উষ্ণ থাকলে জঙ্গি এবং উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো কোথাও আস্তানা গড়তে সাহস পাবে না বলে মনে করেন বিজিবি মহাপরিচালক। সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টিও ভারত এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এয়ার উইং ছাড়া সীমান্তের সুরক্ষা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জেনারেল আজিজ। তবে ভারতের সঙ্গে সর্ম্পক জোরদার হওয়ার কারণে বিওপিগুলোতে যেতে ভারত তাদের রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বলে জানালেন বিজিবি মহাপরিচালক।