পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরে পদাপর্ন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন শহর। আতশবাজি, আলোকসজ্জাসহ বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।
তবে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ থাকায় এবারের বর্ষবরণ স্বাভাবিক সময়কালের চেয়ে অনেকটাই রঙ হারিয়েছে।
মাস্কে মুখ ঢেকে ২০২১ এ পা দিয়েছিল বিশ্ব। বছর শেষেও সে দৃশ্য পাল্টায় নি। সংক্রমণ বাড়িয়ে আবার নতুন করে শিরোনামে কোভিড উদ্বেগ। এরইমধ্যে সময়ের পাতা উল্টিয়ে মহামারীকাল হাত রাখছে নতুন আরেকটি বছরে।
শঙ্কা নিয়েই ২০২২ সালকে বরণ করছে বিশ্ব। বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে ২০২২ সালকে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। ঘড়ির কাটা রাত ১২টা স্পর্শ করতেই প্রায় এক হাজার ফুট উচ্চতার স্কাই টাওয়ার আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তবে বিধিনিষেধ থাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশকিছু আলোক প্রদর্শনী বাতিল করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
আতশবাজিতে বর্ণিল হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্নের মত শহরগুলো। সীমিত সংখ্যক নাগরিক এসব আয়োজনে অংশ নিলেও আতশবাশি আর আলোর ঝলকানিতে নতুন বছরে প্রবেশ করেছে দেশটি।
দুবাইয়ে কাউন্ট ডাউন হয় বুর্জ খলিফার শরীর জুড়ে। আর উৎসবে মেতে উঠে শহরের সবাই।
ইউরোপে উৎসবের মনযোগের কেন্দ্রে ছিলো লন্ডন, মস্কো, প্যারিস, রোম ও মাদ্রিদের আকাশ জুড়ে। রাতের চেনা দৃশ্য পাল্টে আলোর ঝলকানির সাথে ক্ষণ গণনায় মুখরিত ছিলো অধিকাংশই। ছিলো আলোকসজ্জার বর্ণিল বাজার। সব মিলিয়ে মহামারীর বছরের আধার পেরিয়ে নতুন বছরে নতুন সূর্যের আশায় একত্রিত হয়েছে বিশ্ব।