জাপানে রেল দুর্ঘটনা এবং সংঘর্ষের পাশাপাশি পশু মৃত্যু এড়াতে অভিনব এক পদ্ধতি বের করেছে টোকিওর গবেষকরা। তারা গবেষণায় বের করেছেন, ট্রেনের মধ্যে দুইটি স্পিকার লাগানো যেতে পারে। যেখানে একটিতে থাকবে কুকুরের ডাক অন্যটি থাকবে হরিণের ডাক। জাপানের স্থানীয় এক পত্রিকা আসাহি শিম্বন এ বলা হচ্ছে, এই দুই ধরণের শব্দের ফলে হরিণরা ভয় পেয়ে দূরে সরে যাবে। তারা ধারণা করছে ট্রেনে কুকুর আর হরিণের শব্দ ব্যবহার করলে পশুদের মৃত্যু সংখ্যাও কমতে থাকবে।রেলওয়ে টেকনিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (আরটিআরআই) কর্মকর্তারা বলছেন যে, হরিণের গলার আওয়াজের শব্দ তিন সেকেন্ড বাজতে থাকলে সমস্ত প্রাণীর মনযোগ আকর্ষণ করে এবং কুকুরের ঘেউ ঘেউ আওয়াজ ২০ সেকেন্ড বাজতে থাকলে ট্রেন ছাড়ার সময় নির্ধারণ করা হবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রাণীদের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
আরটিআরআই গবেষকরা আরও বলেন, মধ্যরাতে অনেক সময় হরিণসহ অন্যান্য প্রাণীরা রেললাইনের খুব কাছে চলে আসে। তাই আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে কুকুর আর হরিণের শব্দের স্পিকার লাগিয়ে পরীক্ষা চালাই।
তখন দেখা যায়, অনেক প্রাণী মৃত্যু থেকে রক্ষা পাচ্ছে। যদি এই কার্যক্রম সফল হয় আগামীতে আমরা জাপানের বিভিন্ন রেললাইনে ট্রেনের সাথে এই ধরণের শব্দের ব্যবস্থা রাখব। তবে আশেপাশের এলাকায় নগরী থাকায় বাইরের আওয়াজের শব্দে ট্রেনে কুকুর আর হরিণের গলার আওয়াজ ব্যবহার করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।