দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে এক দুদক কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হলেও নোটিশের ভাষ্য বলছে, চিঠিটি বরং সাংবাদিকদের আকাঙ্খার বিপরীতেই গিয়েছে।
বাংলা ট্রিবিউনের এক সাংবাদিককে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যে চিঠি লেখা হয়েছিল তাতে বলা হয়, ‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণ করা হবে’। কিন্তু, এটিএন নিউজের সাংবাদিককে পাঠানো চিঠিতে আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
সাংবাদিকদের আপত্তির কারণ ছিল মূলত ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি দীপু সারোয়ারকে তথ্যের জন্য সমন পাঠানোর চিঠিতে ওই ‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণ করা হবে’র বিষয়ে।
ওই আপত্তি বিবেচনায় নিয়ে দুদক তার পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাহকে যে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে তার ভাষা বলছে, তাকে শো-কজ করা হয়েছে এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমনের কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন ‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণ করা হবে’ লেখা হয়নি সে কারণে।
একে শো-কজের নামে চালাকি কি না সে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন: ওই শোকজের কপিটি আমার হাতে এসেছে। শোকজ করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো.জহির রায়হান। আর তাতে দেখা যায় দীপু সারোয়ারকে দেয়া চিঠিতে, ‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণ করা হবে’ লেখার জন্য শেখ মো. ফানাফিল্যাহকে শোকজ করা হয়নি।
হারুন লিখেছেন: একই ঘটনায় এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমনকে দেয়া নোটিশে ‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণ করা হবে’ কেন লেখা হয়নি সে কারণে শোকজ করা হয়েছে। শোকজে আরো বলা হয়েছে ইমরান হোসেন সুমনকে দেয়া নোটিশে ‘আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণের’ কথা না লিখে দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাহ দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। যা অসদাচরণের সামিল।
তাই ‘খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই’ উল্রেখ করে হারুন উর রশীদ লিখেছেন: এখন এটা স্পষ্ট যে দীপু সারোয়ারকে দেয়া নোটিশ প্রত্যাহার করেনি দুদক। তারা মনে করছে ওই নোটিশ ঠিক আছে। বরং ভুল করেছে এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমনকে দেয়া নোটিশে ‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণ করা হবে’ না লিখে।
“তাহলে কি ‘অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গ্রহণ করা হবে’ লাইনটি যোগ করে সুমনকে আবারো নোটিশ দেয়া হবে?” বলে প্রশ্ন রেখেছেন হারুন উর রশীদ।