সদ্য মিষ্টির দোকানে চাকরি পাওয়া নিরাশ, সংসারী এক ভদ্রলোকের দেখা হয় নিশাচর ক্রেতার সাথে। গভীর রাতের সেই ক্রেতা কথা দেয়, মজার মজার মিষ্টির বদলে তাকে একটি বর দিবেন। তাই-ই দেয়। লোকটা অবাক হয়ে একে একে ইচ্ছাপূরণ হওয়া দেখে। সে বোঝে, মনের সাধগুলো নিয়ে হুঁশিয়ার হতে হবে। কিন্তু তারপর কি হয়? তা জানতেই দেখতে হবে ‘মিষ্টি কিছু’।
হরর ঘরানার ৪টি ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি চরকি অরিজিনাল অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘ষ’ এর দ্বিতীয় পর্ব ‘মিষ্টি কিছু’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্থোলজি সিরিজ। মিষ্টি জিনিষ যে জ্বিন পছন্দ করে এই প্রচলিত লোককথা থেকে ‘ষ’ এর দ্বিতীয় এপিসোড।
নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি এই এপিসোডে প্রথমবার পর্দা শেয়ার করতে দেখা যাবে আফজাল হোসেন ও চঞ্চল চৌধুরীকে। এরআগে একসঙ্গে একই ফ্রেমে কখনও কাজ করা হয়ে উঠেনি দুই প্রজন্মের দুই গুণী অভিনয়শিল্পীকে।
এ বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, আফজাল ভাইয়ের সাথে এক ফ্রেম শেয়ার করার আনন্দ কথায় বর্ণনা করে বোঝানো কঠিন। আফজাল ভাই, প্রিয় একজন মানুষ সেই সাথে প্রিয় অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটাও ছিল দারুণ।
আফজাল-চঞ্চল ছাড়াও এই পর্বে আরও অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, খালেদ আহমেদ রুমি, মোমো আলি, মায়মুনা ইসলাম মেধা, মোহনা হোসেনসহ অনেককেই।
ভিন্নধর্মী এমন কনটেন্টে কাজ প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, ‘পেট কাটা ‘ষ’-তে যে গল্পগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো কম বেশি আমাদের সবার শোনা। কিন্তু গল্পগুলো যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তার ধরন একদম নতুন। নুহাশের মতো তরুণ এক যুবক এমন অসাধারণ কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেছে সেজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে চরকিকে ধন্যবাদ এমন অভিনব প্লটের গল্প দর্শকদের দেখানোর সুযোগ করার কারণে। আর হ্যাঁ, মিষ্টি কিছু কিন্তু মোটেও মিষ্টি নয়।
পরিচালক নুহাশ বলেন, ‘কিছু বাংলা ভূতের গল্প আছে আমাদের সবার শোনা। মাছ রাঁধলে পেত্নী আসে, মিষ্টির দোকানে রাতে জ্বীন আসে, নিশির ডাক শুনতে নেই, খোলা চুলে সন্ধ্যায় বের হতে নেই। এইসব ক্লাসিক বাংলা ভূতের গল্প কিন্তু আমাদের ঐতিহ্য। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের অলিখিত গল্প। এই গল্পগুলোকে এক স্ক্রিন আনার সময় এসেছে। এই গল্পগুলো উপলব্ধি করার সময় এসেছে।পেটকাটা ‘ষ’-তে সেই ক্লাসিক গল্পগুলোকে নতুন করে উপস্থাপন করেছি।’
চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি সব সময় চেষ্টা করে দর্শকদের মৌলিক ও ভিন্ন কনটেন্ট উপহার দেয়ার। ভৌতিক বা সাইকোলজিক্যাল হরর কনটেন্ট চরকির পর্দায় এর আগে দর্শক দেখেনি। আশা করছি, সিরিজ ‘ষ’ দেখে দর্শক হতাশ হবে না।’