ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিক আইন (সিএএ) নিয়ে দিল্লিতে সংঘর্ষের জেড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাত জনে দাঁড়িয়েছে। গাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে মারা গেছেন পুলিশের এক কনস্টেবলসহ সাতজন। আহত হয়েছে অন্তত ১০০ জন। এ ঘটনায় উত্তর-পূর্ব দিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪৮ জন পুলিশ সদস্যও। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দিল্লিতে সংঘর্ষে এক অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি চালাচ্ছিলো।
এই নিয়ে ২৪ ঘন্টায় দ্বিতীয়বার রণক্ষেত্রের চেহারা নিলো দিল্লির রাজপথ। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে এবং বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পাথর নিক্ষেপ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এদিন পথে নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী। ওই সমস্ত এলাকায় বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দিল্লির মূখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ান সংঘর্ষের এলাকার এমএলএ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছেন। টুইটে নিজেকে চিন্তিত উল্লেখ করে সবাইকে সহিংসতা না করার আহ্বান জানান তিনি।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ চলছে পুরো দেশজুড়ে। যেটার কারণে প্রথমবারের মতো ধর্মপরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে ভারতীয়দের। এই আইনের মতে, তিনটি মুসলিমপ্রধান প্রতিবেশী দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকরা এই আইনকে মুসলিমবিরোধী আইন হিসেবে অভিহিত করেছেন।