কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়া এবং অনাবৃষ্টির কারণে আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে দিনাজপুরের কৃষকরা। বোরোর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার বেশী জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্য থাকলেও ফলন নিয়ে এখন চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটছে কৃষকের।
আমন ধান রোপনের সময় শুরু হলেও খুশী নয় কৃষক। সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের দাম তো বেড়েছেই, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তিত জেলার কৃষকের। কৃষকরা বলছেন এসব কারণে আমন ধান করে তারা লাভবান হতে পারছে না।
অনাবৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি ধরে রাখতে প্রায় প্রতিদিনই ডিজেলের মাধ্যমে পানি দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে কৃষককে। বৃষ্টির আশায় এখনো চারা রোপন না করায় পুড়ে যাচ্ছে বীজতলা। ধান রোপনে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা সাময়িক বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, যে সব জমিতে পানি নেই সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে সেখানে পানি সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দিনাজপুরের বিএডিসি এর যুগ্ম পরিচালক আফরোজ আলম জানান, সার্থকভাবে আমন ফসল চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ সারে মজুদ তাদের রয়েছে। কৃষকের চাহিদা মতো সার সরবরাহ দেওয়ার ব্যপারে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এবার জেলায় দু’লাখ ৫৩ হাজার নয়শো’ ৬৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। এর ৮০ ভাগ জমিতেই রোপা আমন লাগানো হয়েছে।
ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন চাষাবাদে মাঠে নেমেছে কৃষকরা।সেচ ও সারের ব্যপ্তিতা নিশ্চিত হলে আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার এ অঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশা করছেন কৃষিবিদরা।