তৃতীয় লিঙ্গের তরুণ উদ্যোক্তা নিশাত ইসলামের মানবিক সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে উত্তরণ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন ও এসব প্রশংসনীয় কাজের পেছনে রয়েছেন পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি তৃতীয় লিঙ্গের তরুণ উদ্যোক্তা নিশাত ইসলামের পিতা আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। হৃদরোগসহ বার্ধ্যকজনিত কারনে তিনি নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
উত্তরণ বিউটি পার্লারের উদ্যোক্তা নিশাত ইসলাম বলেন: বাবার অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালের খরচে আমার জমানো সব টাকা শেষ হয়ে যায়। বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করার মতো টাকাও আমার কাছে ছিল না। এমন অবস্থায় আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন ডি আই জি হাবিব স্যার। তিনি এতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং পিতার শেষ কৃত্য সম্পন্ন করার জন্য একটি গরু কিনে দেন। এছাড়াও নানাভাবে সাহায্য করে থাকেন। একই সঙ্গে উত্তরণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমার পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রচলিত কর্মধারার মাঝে থেকে নিশাত ইসলামকে উদ্যোক্তা হিসেবে এবং একটি সুস্থ ধারার জীবন মান তৈরীর পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পদে কাজের সুবাদেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সাভারে বেদে পল্লীর সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়ন থেকে শুরু করে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের আত্ন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেদে পল্লীর অভিশপ্ত বাল্য বিবাহ রোধে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয় দেশে-বিদেশে। উত্তরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত ও অবহেলিত পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্ম-সংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উত্তরণ, তাদের পূনর্বাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত করতে সাড়া জাগানো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। যে কারণে এই দুই জনগোষ্ঠির কাছে তার পরিচয় মানবতার ফেরিওয়ালা।