তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়া হবে- লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, তারেককে ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে।
রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে সিনিয়র সহকারি জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, দণ্ডিত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যাদের সাথে, যেভাবে আলোচনা দরকার; সেভাবেই আলোচনা চলছে।
এর আগে যুক্তরাজ্য সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন, লন্ডনে বসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হবার পরও সে কিভাবে লন্ডনে থাকে?
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ এবং সে তার কৃতকর্মের জন্য বিচারের সম্মুখীন হবে।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য এই দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই।
‘তবে এই দুই দেশেরই মিউচুয়াল লিগ্যাল এ্যাসিস্টেন্ট এ্যাক্ট নামে একটি আইন রয়েছে। তাই বন্দী বিনিময় চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও এই এ্যাক্টের মাধ্যমেও তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।’
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলার মুখে পড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক।
পরের বছর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে লন্ডন চলে যান তিনি। তারপর থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান।
এই সময়ের মধ্যে মুদ্রাপাচারের একটি মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার মা খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের দণ্ডের পাশাপাশি তারেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়াও শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলাসহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন।